Memorandum, DM, শস্য বীমার ক্ষতিপূরণের দাবিতে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককে স্মারকলিপি

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ৯ ফেব্রুয়ারি: গত খরিফ মরশুমে কোলাঘাট ব্লকের সাগরবাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে আমনধান চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। সম্প্রতি ১৭ জানুয়ারি বাজাজ অ্যালায়েন্স ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ন্যাশনাল ম্যানেজার সুদেষ্ণা দাসগুপ্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ডেপুটি ডিরেক্টর অফ এগ্রিকালচার (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন)কে একটি চিঠি দিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ১০৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৩ লক্ষ ৮৩ হাজার ৫৬৩ জনকে ওই মরশুমের আমনধান চাষের ক্ষতিপূরণ বাবদ ২৩ কোটি ৯৭ লক্ষ ১৯ হাজার ৬০ টাকা শস্যবীমা বাবদ অর্থ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে সেই ক্ষতিপূরনের টাকা চাষিদের অ্যাকাউন্টে ঢুকতে শুরু করেছে। ওই তালিকায় কোলাঘাট ব্লকের ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কৃষকরা ক্ষতিপূরণ পাবে বলে জানা গিয়েছে।

আশ্চর্যের বিষয়, ২০২৩ সালের বর্ষায় সাগরবাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের আমিরচক, গোবিন্দচক, দেউলবাড়, নহলা, বৃন্দাবনচক সহ আরো বেশ কয়েকটি গ্রাম জলমগ্ন হয়। ফলস্বরূপ ঐ গ্রামগুলির আমন চাষিরা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ওই ক্ষতিগ্রস্ত বীমাকারীরা ক্ষতিপূরণের টাকা পাচ্ছেন না। এই পরিপ্রেক্ষিতে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা যাতে বীমার ক্ষতিপূরনের টাকা পান, সেই দাবি জানিয়ে আজ কৃষক সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে জেলা শাসক ও কৃষি দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর অব এগ্রিকালচার(প্রশাসন)কে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

পরিষদের সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, উপরোক্ত গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বীমাকারীরা কী নিয়মে বাদ পড়লো বুঝে উঠতে পারছি না। যাতে ওই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরাও ক্ষতিপূরণ পান সেজন্য জেলা কৃষি দপ্তর ও জেলা শাসককে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *