সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২৭ এপ্রিল: “মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে তালডাংরায়। সিভিক প্রধান এবার তোমাদের পালা।” এভাবে সিভিক কর্মী ও পঞ্চায়েত প্রধানদের হুঁশিয়ারি দিয়ে পোস্টার পড়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে তালডাংরায়। সাদা কাগজের ওপর লাল কালিতে হাতে লেখা পোসটার লক্ষ্য করা যায় তালডাংরা বাজারের বেশ কয়েকটি জায়গায়। পোস্টারগুলির নিচে সিপিআই (মাওবাদী) লেখা রয়েছে।
ফের মাওবাদী নামাঙ্কিত এই পোস্টার পড়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে তালডাংরা এলাকায়। রবিবার সকালে তালডাংরা থানার কাছে তৃণমূল কার্যালয় এলাকায় এবং বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতির বাড়ির কাছে এরকম পোস্টার দেখতে পান স্থানীয়রা। এই পোস্টার- গুলিতে, “কিষেনজি, সুনীল মাহাতো এবং রিমিলের মৃত্যুর বদলা চাই। জল জমি জঙ্গল আদিবাসী এদের উচ্ছেদ করা চলবে না, সিভিক প্রধান এবার তোমাদের পালা” বলে লেখা রয়েছে। এই হুঁশিয়ারির পর এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
একসময় বাঁকুড়া জেলার জঙ্গলমহলের বিস্তীর্ণ এলাকায় মাওবাদীরা সক্রিয় থাকলেও তালডাংরা বাজার এলাকায় উপস্থিতির খবর ছিল না। কখনোই মাওবাদীদের পোস্টার পাওয়া যায়নি। তালডাংরা এলাকায় মাওবাদী পোস্টার পড়ার ঘটনা নজির বিহীন। সিভিক ও প্রধানদের হুঁশিয়ারি দেওয়ার ঘটনাও নজির বিহীন। মাওবাদীদের কায়দায় সাদা কাগজে লালকালিতে বানান ভুলে ভরা কাঁচা হাতে লেখা পোস্টারগুলি। তবে কিষেণজির নামকে কৃষানজিৎ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সেনিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। জল জমি জঙ্গল থেকে আদিবাসীদের উচ্ছেদের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে পোস্টারে।
একইসঙ্গে সিভিক কর্মী ও গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানদের হুঁশিয়ারি দিয়ে লেখা হয়েছে, এবার তোমাদের পালা। পোস্টারগুলি স্থানীয়দের নজরে আসার পরই তড়িঘড়ি সেগুলি ছিঁড়ে দেয় তালডাংরা থানার পুলিশ। পুলিশের একাংশের ধারণা, এই পোস্টারগুলির সঙ্গে মাওবাদীদের কোনো সম্পর্ক নেই। কে বা কারা এই পোস্টার দিয়েছে তা জানতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।