Stone trader, Rampurhat, রামপুরহাটে পাথর ব্যবসায়ীকে গুলি করে খু*ন, ছিনতাই টাকা

আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ২৭ এপ্রিল: পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হলো পাথর ব্যবসায়ীকে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাট থানার নিরিশা গ্রামে। নিহত পাথর ব্যবসায়ীর নাম সুদীপ বাস্কে (২৮)। বাড়ি একই থানার সুলুঙ্গা গ্রামে।

স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের মাসরা অঞ্চল মূলত পাথর শিল্পাঞ্চল হিসাবে পরিচিত। ওই পাথর শিল্পাঞ্চলে প্রতি সপ্তাহের রবিবার শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। সেই মতো রবিবার বেলা ১১টার সময় নিরিশা গ্রামের পেট্রোল পাম্পে দাঁড়িয়ে কর্মীদের পারিশ্রমিক দিচ্ছিলেন সুদীপ। সেই সময় কয়েকজন দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র হাতে মোটরবাইক থেকে নেমে শ্রমিকদের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিতে থাকে। একইভাবে সুদীপের ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে গেলে দুষ্কৃতীরা খুব কাছ থেকে তাকে পর পর দুটি গুলি করে। একটি গুলি বুক লাগে। অন্যটি বাম দিকে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এরপরেই দুষ্কৃতীরা শূন্যে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে ঝাড়খণ্ডের দিকে পালিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী কালিকুমার ভাণ্ডারী বলেন, “আমি পারিশ্রমিক নিয়ে চায়ের দোকানে বসেছিলাম। দেখলাম পাঁচ ছয়জন মোটর বাইক থেকে নেমে ছিনতাই করছে। কি হয়েছে আমি জানতে গেলে আমার কাছ থেকে টাকা এবং মোবাইল কেড়ে নেয় দুষ্ক্রীতরা। ওদের প্রত্যেকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। ওরা ঝাড়খণ্ডের দিকে পালিয়েছে।”

সুদীপের ব্যবসায়ীক বন্ধু মুন্না শেখ বলেন, “ঘটনার কিছুক্ষণ আগে একসঙ্গে ছিলাম। তারপর সুদীপ নিরিশার পাম্পে গিয়ে টাকা পেমেন্ট করছিল। তারপরেই খবর পাই তাকে গুলি করেছে। তবে ওকে আগেও খুনের হুমকি দিয়েছিল।”

পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সিরাজ শেখ বলেন, “খবর পেয়ে আমরা এলাকায় যাই। ততক্ষণে সুদীপকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছে যায়। পুলিশের কাছে আমাদের অনুরোধ এলাকার সিসিটিভি দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। এই ঘটনায় আমরাও আতঙ্কিত।”

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, দুষ্কৃতীরা ঝাড়খণ্ডের দিকে চলে গিয়েছে। কালী ভাণ্ডারীর মোবাইল ট্র্যাক করে পুলিশ দুষ্কৃতীদের ধরার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে দুমকায় পুলিশের কর্তাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছে জেলা পুলিশ। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *