আমাদের ভারত, ২৭ এপ্রিল: রবিবার সারা সকালজুড়ে ভারতীয় নৌ-বাহিনী আরব সাগরে যুদ্ধের মহড়া করল। এরপর বাহিনীর তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, এই মহড়া অত্যন্ত সফল হয়েছে। ভারতীয় নৌবাহিনী সব ধরনের যুদ্ধ জাহাজে মহড়ায় অংশগ্রহণ করে। শত্রু মোকাবিলায় নৌ বাহিনী একেবারে প্রস্তুত। আবার অন্যদিকে পদাতিক ও বিমান বাহিনীরও মহড়া দেখা গেছে। এই সব কিছু থেকে অনেকেই মনে করছেন বড় কিছু হতে চলেছে। তাহলে কি আবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, নাকি যুদ্ধের প্রস্তুতি?
রবিবার নরেন্দ্র মোদী কাশ্মীরের পেহেলগাঁওয়ে জঙ্গিদের হাতে পর্যটকদের হত্যা নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। মন কী বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অপরাধী ও ষড়যন্ত্রকারীদের কঠোরতম জবাব দেওয়া হবে। ভারত সরকার পেহেলগাঁওয়ের ঘটনার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক সরু সুতোয় ঝুলছে। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি এবং নৌবাহিনীর মহড়া ঘিরে পাকিস্তানের ভূমিতে আবারো সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে ইতিমধ্যেই রাজস্থানে ভারতের আর্মি এবং পদাতিক সেনাও মহড়া শুরু করেছে। কাশ্মীরে ভারত- পাক সীমান্তে যুদ্ধবিমানও উড়েছে।
কূটনৈতিক মহলের একাংশের মতে, অতীতে এই ধরনের পরিস্থিতিতে পাকিস্তান চিনকে পাশে পেয়েছে। কিন্তু আপাতত চিনের সঙ্গে ভারতের মৈত্রীর সম্পর্ক রয়েছে। কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর পূর্তিকে কেন্দ্র করে দুই দেশ কাছাকাছি আসছে। পেহেলগাঁও হামলার কড়া নিন্দা করেছে ভারতে থাকা চিনের দূতাবাস। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানকে জবাব দেওয়া কূটনৈতিক দিক থেকেও ভারতের জন্য অনুকূল।
জঙ্গি হামলার পর থেকে তিন সেনাবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৬ সালে উড়িতে জঙ্গিহানার জবাব দিতে ভারতীয় বিমান বাহিনী পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অতর্কিতে হামলা বা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়ে জঙ্গি শিবির গুড়িয়ে দিয়েছিল।
আর এবার তিন বাহিনীর এই প্রস্তুতি থেকে গুঞ্জন শুরু হয়েছে আবার কি তাহলে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক? নাকি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ ঘোষণা হবে?
রাজস্থানের পাশাপাশি গুজরাট সীমান্তেও সেনাবাহিনী মহড়া শুরু করেছে। রবিবারের মহড়া নিয়ে নৌবাহিনী বলেছে, দেশের সমুদ্র সীমান্ত রক্ষায় নৌবাহিনী প্রস্তুত। মহড়ায় যুদ্ধ জাহাজে প্রস্তুতি গোলাবর্ষণ সফল হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার নৌবাহিনী দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি মিসাইল ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র আইএনএন সুরাত- এর ব্যবহার সফল হয়েছে।