Himant, Yogi, Mamata, এত সাহস হলো কিভাবে? মমতার আগুন জ্বলবে মন্তব্যে পাল্টা হুঁশিয়ারি হিমন্ত, যোগী সহ একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর

আমাদের ভারত, ২৯ আগস্ট: বুধবার মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন বাংলায় আগুন লাগলে অসম, উত্তর প্রদেশ সহ উত্তর পূর্বের একাধিক রাজ্যে আগুন জ্বলবে, এই মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সহ একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁরা বলেছেন আমাদের রক্ত চক্ষু দেখাবেন না। আপনার অসফলতার রাজনীতি দিয়ে একদম ভারতকে অগ্নিগর্ভ করে তোলার চেষ্টা করবেন না।

বুধবার মেয়ো রোডে সমাবেশ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেন। তিনি বলেন, বাংলায় আগুন লাগানোর চেষ্টা করলে অসম, উত্তর-পূর্ব ভারত, উত্তর প্রদেশ, দিল্লি, কোথাও আগুন থামবে না। ক্ষমতা দখলের লড়াই করতে চাইছেন? আপনার চেয়ার টলমল করে দেব। আপনার দল আমাকে কতটা চেনে তা জানি না। যতই ফান্ডিং করুন ফান্ডিং এন্ডিং করে দেবো।

মমতার এই মন্তব্যে জবাবে, এক্স হ্যান্ডেলে হিমন্ত বিশ্বশর্মা লেখেন, দিদি আপনার এত সাহস কিভাবে হলো? যে আপনি অসমকে ধমকি দিচ্ছেন। আমাদের রক্ত চক্ষু দেখাবেন না। আপনার অসফলতার রাজনীতি দিয়ে একদম ভারতকে অগ্নিগর্ভ করে তোলার চেষ্টা করবেন না। বিভাজনকারী ভাষা বলাটা আপনার শোভা পায় না।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপি শাসিত মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, উত্তর-পূর্ব ভারতকে হুমকি দেওয়ার সাহস হয় কি করে দিদির?এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করছি। ওনার উচিত গোটা উত্তর-পূর্ব ভারত এবং দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া।

উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ লিখেছেন,
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের কর্তৃত্ববাদী, নারী-বিরোধী আচরণ নিঃসন্দেহে গণতন্ত্র ও মানবতার অপমান এবং সভ্য সমাজের জন্য বিব্রতকর। তাঁর কথায় “দেবী পুজোর সংস্কৃতির ধারক বাহক পূণ্যভূমি ‘আমার সোনার বাংলা’তে মাতৃশক্তি রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ সেখানকার সরকার। তাদের অবিলম্বে সমগ্র মাতৃশক্তি ও দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত”।

যোগী আরও লিখেছেন, মহিলাদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের মমতা ব্যানার্জি সরকারের যে চরম উদাসীনতা প্রকাশ্যে এসেছে তা ক্ষমার অযোগ্য। কলকাতায় একজন মহিলা চিকিৎসকের সাথে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ঘটনা সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মুর তরফে প্রকাশ করা হতাশাতে সেটা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি মমতার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তুলেছেন, “এমন আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার অধিকার কে দিয়েছে”,

তিনি এক্স বার্তায় লিখেছেন, “ওড়িশা একটি শান্তিপূর্ণ রাজ্য, এবং এখানকার মানুষ সচেতন। ওড়িশার জনগণ কখনই আমাদের রাজ্যের প্রতি আপনার ঘৃণ্য মনোভাব, নেতিবাচক মন্তব্য এবং সংবেদনশীল মনোভাব মেনে নেবে না। জঘন্য অপরাধের শিকারকে ন্যায়বিচার না দিয়ে আপনি যে প্রতিশোধমূলক মন্তব্য করছেন তা দেশের জন্য বিপজ্জনক। দয়া করে এই ধরনের বক্তব্য থেকে দূরে থাকুন। শান্ত থাকুন‌”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *