আমাদের ভারত, ১১ আগস্ট: ঠিক কী কী কাজ করবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা? আরজিকরে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর সিভিক ভলান্টিয়ার্সদের কাজের তালিকা প্রকাশের দাবি তুললেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। একই সঙ্গে পুলিশ ওয়েলফেয়ারের বোর্ড নিয়েও একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
আরজিকরে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে একাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, নাকি তার সঙ্গে আরো কেউ ছিল তা এখনো স্পষ্ট নয়। পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, প্রাথমিকভাবে অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছে সঞ্জয়। শুধু তাই নয়, পুলিশের জেরায় যথেষ্ট বেপরোয়া মনোভাবের পরিচয় দিয়েছে সে। তাকে নাকি একাধিকবার বলতে শোনা গেছে ফাঁসি দিয়ে দিন।
এবার এই ঘটনায় সরব হলো বিজেপি। সেক্টর ফাইভে বিজেপির দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠক থেকে সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন, সিভিক ভলান্টিয়ারদের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকা দরকার। তারা কোন কোন কাজ করবেন আর কোনটা করবেন না তা আগে থেকে ঠিক করে রাখা দরকার। সেটাই হচ্ছে না। এর আগে সিভিক ভলান্টিয়ারকে দিয়ে লাঠিচার্জ পর্যন্ত করানো হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এই আচরণের জন্য আদালতে মুখও পুড়েছে রাজ্যের। শুধু তাই নয়, সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে কমিশন সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভোটের কাজের বাইরে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল, তাও তুলে ধরেন সুকান্ত মজুমদার। আর এখানেই তাঁর দাবি, সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজের তালিকা প্রকাশ করুক রাজ্য সরকার।
পাশাপাশি পুলিশ ওয়েলফেয়ার বোর্ড নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী। সে বোর্ডের মাথায় একজন মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ পুলিশ আধিকারিককে বসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্যে সভাপতি। সে আগে কলকাতা পুলিশের একটি থানার ওসি ছিলেন। এখন রাজ্য পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদেরও তার কথা শুনে চলতে হচ্ছে। সুকান্ত মজুমদারের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি কার ওয়েলফেয়ার করছে তদন্তে সেটা ধরা পড়ে যাবে। তাঁর অভিযোগ, এই ওয়েলফেয়ার সোসাইটি পুলিশরা ভোটের সময় কাকে ভোট দেবে সেটাও ঠিক করে দেয়।