আমাদের ভারত, কলকাতা, ৬ এপ্রিল: “পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলা কাঠামো সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে।” শনিবার এই দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শনিবার তিনি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “ভূপতিনগর বোমা বিস্ফোরণ মামলার তদন্তকারী এনআইএ দল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ভূপতিনগরে হামলার শিকার হয়েছে। যেহেতু নিয়ন্ত্রণ এখন ভারতের নির্বাচন কমিশনের হাতে, তাই ভূপতিনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কাঁথির এসডিপিও ও এসপির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত নির্বাচন কমিশনের।”
আক্রান্ত এনআইএ-র গাড়ির ভিডিও-সহ শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, “সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের আক্রমণ করার পরেও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এমন ঘটনা ঘটল। বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্ররোচনার কারণেই টিএমসি নেতারা এখনও এনআইএ অফিসারদের আক্রমণ করার সাহস পাচ্ছে। তিনি সম্প্রতি কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গায় রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে এনআইএ সম্পর্কে অস্বাভাবিক কথা বলেছেন।
এনআইএ-র সমন পাওয়ার পরেও বলাই মাইতি সহ যারা সহযোগিতা করেনি তাদের গ্রেফতার করতে গিয়েছিল। পরিবর্তে এই টিএমসি নেতারা কীভাবে জাতীয় তদন্ত সংস্থার অফিসারদের উপর আক্রমণ করবেন তার পরিকল্পনায় ব্যস্ত ছিলেন।”
অন্যদিকে, ভূপতিনগর-কাণ্ডে তোপ দাগলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। শনিবার এক্স হ্যান্ডলে তিনি এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দেন।
কুণাল জানান, “ভূপতিনগরের ঘটনা অনভিপ্রেত। কিন্তু, এর পেছনে বিজেপির রাজনীতি ও প্ররোচনা। যেহেতু মানুষ জানেন বিজেপি নেতারা এনআইএ-র সঙ্গে দেখা করে তৃণমূল কর্মীদের তালিকা দিয়ে এসেছিলেন। তাই সবাই চক্রান্তটা জানেন। এটা স্বতঃস্ফূর্ত ক্ষোভ।
কোর্টকে সামনে রেখে এলাকা থেকে তৃণমূল কর্মীদের সরাতে মিথ্যা অভিযোগে নাম দিয়ে এনআইএ দিয়ে সরাতে চাইছে বিজেপি। মানুষ বাধ্য হয়ে প্রতিবাদ করেছেন।”