আমাদের ভারত, ৩০ মার্চ: রামায়ণের রাবণ রাজার সোনার লঙ্কার কথা সবার জানা। সেটা ছিল মহাকাব্য। কিন্তু এবারের লোকসভা নির্বাচনেও তৃণমূল প্রার্থী দিদি নাম্বার ওয়ান রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে ভোট প্রচারে নেমেছেন সারা গা সোনার গয়নায় ঢাকা লঙ্কা রাজা। হ্যাঁ হ্যাঁ এক্কেবারে সত্যি। চুঁচুড়ার এই লঙ্কা রাজা কয়েক কিলো সোনার গয়না পরে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচার করে বেড়াচ্ছেন।
তার নাম সুনীল দাস। বাড়ি সুগন্ধা পঞ্চয়েতের কামদেবপুরে। ডাক নাম লঙ্কা রাজা। ডাক নামটিই তার সব চেয়ে বেশি স্বার্থক এখন। হুগলীর সুগন্ধা পঞ্চায়েত এলাকার একনিষ্ঠ তৃণমূল কর্মী তিনি।রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারে নেমেছেন লঙ্কা রাজা। তবে তার সারা গায়ে এই বিশাল পরিমাণ গয়না দেখে চক্ষু একেবারে ছানাবড়া হবার জোগাড় সবার। কী নেই? গলায় মোটা মোটা সোনার চেন। হাতে সব আঙুলে আংটি। দু’ হাতে একগাদা ব্রেসলেট ঘড়ি। তিনি নিজেও নাকি জানে না তিনি কত পরিমাণ সোনা গায়ে নিয়ে ঘুরছেন। তাকে দেখে অনেকেরই বাপ্পি লাহিড়ীর কথা মনে পড়ে যাবে।
বিরোধীরা এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছেন। আয়কর আধিকারিকদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
ভয় করে না এত সোনা পরে ঘোরেন? প্রশ্ন শুনে লঙ্কা রাজার জবাব, ভয় করবে এমন লোকের সঙ্গে মিশি না।
চাষবাস আর স্টকের ব্যবসা থেকেই নাকি তার রোজগার। কলিযুগের এই লঙ্কা রাজা জমি কেনাবেচা করেন। সাত সাতটা বুলেট আছে তার। সেই বুলেট নিয়েও তিনি ঘোরেন।
তবে এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সুদের কারবার করেন এই লঙ্কা রাজা। গরিব মানুষদের চড়া সুদে টাকা ধার দেন। এমনকি টাকা দিতে দেরি করলে ভয় দেখান তৃণমূলের এই একনিষ্ঠ কর্মী লঙ্কা রাজা।