Bankura, Fair, বাঁকুড়ার খেড়াশোল গ্রাম মেতেছে নারদ মেলায়

সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২৭ ডিসেম্বর: বেকার যুবদের কর্মসংস্থানের আশায় নারদ উপাসনা ও মেলায় মেতেছে খেড়াশোল গ্রামবাসীরা। কর্মসংস্থান ছাড়াও শিক্ষা, সমৃদ্ধি ও শান্তির উপাসনা হিসেবে নারদ পূজার আয়োজন করা হয় বাঁকুড়ার বিভিন্ন এলাকায়। বড়দিনের উৎসবে যখন মেতে উঠেছে সারা জেলা, তখন খেঁড়োশোল ও সংলগ্ন বেশ কয়েকটি গ্রামের অধিবাসীরা নারদ পূজায় মেতে উঠেছে। প্রতিবছর এই নারদ পূজা ও মেলার আয়োজন করেন গ্রামবাসীরা। এখানে নারদ জয়ন্তীতে নয়, বড়দিন থেকে নারদ পূজা শুরু হয়। এই উৎসব চলে টানা চারদিন।

বুধবার বড়দিনের সকালে মঙ্গলঘট নিয়ে শোভা যাত্রা করে খেঁড়োশোল ও সংলগ্ন গ্রামগুলি পরিক্রমা করে এখানে নারদ পূজা শুরু হয়। বড়দিনে গ্রাম পরিক্রমা করার পর দুপুরে নরনারায়ণ সেবা ও সন্ধ্যেয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল৷ বুধবার পূজা ও মেলা শুরুর গত তিনদিন ধরে গ্রামের মানুষ নারদ পুজোয় মেতে রয়েছেন। শনিবার পর্যন্ত চলবে এই মেলা।

খেঁড়োশোল সর্বজনীন নারদ উৎসব কমিটির সভাপতি গুরুদাস মুখোপাধ্যায় বলেন, গ্রামের বাসিন্দাদের কর্মসংস্থান, শিক্ষা, শান্তি ও সমৃদ্ধির কামনায় এই নারদ পূজার আয়োজন করা হয়। এবার এই নারদ উৎসবের অষ্টম বর্ষ। সারা গ্রামের মানুষ এই উৎসবে টানা চারদিন ধরে আনন্দে মাতেন। গ্রামবাসী তপন দাস ও অনন্ত কর্মকার জানান যে, অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে তারা নারদ পূজায় মেতে ওঠেন। নারদকে তুষ্ঠ করার জন্যই তারা এই উপাসনার আয়োজন করে থাকেন।

পুরোহিত স্বপন মুখোপাধ্যায় জানান, এই নারদ পুজো হয় বিশেষ পুঁথি মেনে। সেই পুঁথিতে থাকে পঞ্চ দেবতা, গ্রাম্য দেবতা ও বিষ্ণুর মন্ত্র৷ নারদের জন্য কোন নির্দিষ্ট মন্ত্র নেই। দেবঋষি নারদ যেহেতু বিষ্ণুর উপাসক, তাই নারদ পুজোয় বিষ্ণুকেই আবাহন করা হয়।খেঁড়োশোল গ্রামে নারদ পুজোয় প্রতিটি বাড়িতে মেয়ে, জামাই ও আত্মীয়স্বজন আসার রীতি রয়েছে। এতে নারদ উৎসবের চারদিন গ্রামে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। এই উৎসবে অংশ নেয় সংলগ্ন গ্রামের বাসিন্দারা। সব মিলিয়ে চারদিনের এই নারদ উৎসব মিলন মেলায় পরিণত হয়।

উল্লেখ্য, রতনপুর সহ জেলার আরও কয়েকটি এলাকায় বিভিন্ন সময় নারদ পূজা ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *