আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ২৭ ডিসেম্বর: ভুল চিকিৎসায় পঞ্চায়েত সদস্যা সুজাতা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে চলেছে হাঁসন কেন্দ্রের বিধায়ক, চিকিৎসক অশোক চট্টোপাধ্যায়ের? শুক্রবার মাড়গ্রামের একটি মেলা ও রক্তদান শিবিরে তাঁর অনুপস্থিতি এনিয়ে জল্পনা উস্কে দিয়েছে। যদিও এবিষয়ে অশোকবাবুর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তিনি ফোন ধরেননি।
প্রসঙ্গত, ২৩ ডিসেম্বর অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে চিকিৎসক অশোক চট্টোপাধ্যায়ের রামপুরহাটের নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় এক গৃহবধূর। সুজাতা মুখোপাধ্যায় নামে ওই গৃহবধূ রামপুরহাট ২ নম্বর ব্লকের সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্যা ছিলেন। তাঁর স্বামী তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায়। তৃণমূলের রামপুরহাট ২ নম্বর ব্লক সভাপতি সুকুমার মুখোপাধ্যায় আবার তারাময়বাবুর ভগ্নিপতি। এই অকাল মৃত্যুতে শ্যালকের পাশে থাকলেও চিকিৎসক তথা দলীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে কোনো আন্দোলনে দেখা যায়নি সুকুমারবাবুকে। তবে তৃণমূল পরিচালিত সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান থেকে সমস্ত সদস্য, সদস্যা ও বিধায়ক চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে পথে নেমেছেন। এমনকি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে চিকিৎসকে বয়কটের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
ঘটনার পর এদিনই প্রথম মাড়গ্রাম বুড়ো পীর সাহেবের মেলা উপলক্ষে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। আমন্ত্রণপত্রে বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়ের গৌরবময় উপস্থিতির কথা মোটা অক্ষরে লেখা থাকলেও এদিনের ফ্লেক্সে তাঁর নাম দেখা যায়নি। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান, ব্লক সভাপতি সুকুমার মুখোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাহারা মণ্ডল, মাড়গ্রাম থানার ওসি জাহেদুল ইসলাম ছাড়াও তৃণমূল নেতাদের মঞ্চ আলোকিত করতে দেখা গেলেও দেখা যায়নি অশোকবাবুকে। তবে এনিয়ে কেউ মুখ খুলতে চাননি। অশোকবাবু ফোন ধরেননি। তবে মেলা উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, উনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কেন আসেননি উনিই বলতে পারবেন।