সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ৯ এপ্রিল: চাকুরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের রাস্তা অবরোধ ও ডিআই অফিসে বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে উত্তাল বাঁকুড়া শহর।
বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ শহরের ব্যস্ততম রাস্তা কলেজ রোড চার্চ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন চাকরিহারা শিক্ষক- শিক্ষিকারা। প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তায় বসে পড়ে শ্লোগান দিতে থাকেন। তীব্র রোদ গরমের মধ্যে ছাতা মাথায় দিয়ে দীর্ঘক্ষণ তারা রাস্তায় বসে থাকেন। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে কলেজ রোড। এই প্রতিবাদকে সমর্থন করে পথচলতি অনেকেই দাঁড়িয়ে পড়েন রাস্তায়। বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে চাকরিহারাদের অবরোধ তোলার অনুরোধ করতে থাকেন। তবে চাকুরিহারারা এদিন ছিলেন রণংদেহী রূপে। তাদের দাবি, তারা যোগ্য। তাদের সম্মান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে সরকার ছিনিমিনি খেলেছে। এখন তাদের অস্তিত্ব ও সম্মান সঙ্কটে। তাই আপোষের কোনো সুযোগ এখন আর নেই। হয় সসম্মানে তাদের পুর্নবহাল করতে হবে, না হয় তারা দুর্নীতির সরকারকে গুঁড়িয়ে দেবে। এরপর বেলা ২টো নাগাদ স্কুলডাঙ্গায় জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কার্যালয়ে যান তারা। সেখানে বিশাল পুলিশ বাহিনী, মহিলা পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ মোতায়েন ছিল। তারা চাকরিহারাদের কার্যালয়ে ঢুকতে বাধা দেয়। এতে শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র বচসা। এই বচসা থেকে শুরু হয় ধ্বস্তাধ্বস্তি। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এদিন চাকরিহারারা ছিল মরিয়া। অস্তিত্ব বিপন্ন হতে বসলে সকলে কতটা মরিয়া হয়ে ওঠে এদিন তা বারে বারে ফুটে ওঠে। এই সময় ডিআই পীযূষ কান্তি বেরা অফিস থেকে বেড়িয়ে এসে বিক্ষোভরত শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, বিষয়টি তার এক্তিয়ারে নেই।
অন্যদিকে জেলার বিভিন্ন বিডিও অফিস ঘেরাও করে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভে সরব হয়ে ওঠেন বামপন্থী শ্রমিক, কৃষক, ক্ষেতমজুর সহ বিভিন্ন গণ সংগঠনের সদস্যরা। এই দাবিগুলির মধ্যে যোগ্য চাকুরিহারাদের সসম্মানে পুর্নবহাল ও নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িতদের কঠোরতম শাস্তির বিষয়টিই ছিল গুরুত্বপূর্ণ।