পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৬ সেপ্টেম্বর: চলতি বছরে মর্যাদাপূর্ণ ‘বিদ্যাসাগর পুরস্কার’-এর জন্য মনোনীত হলেন ঝাড়গ্রামের ‘কোকিলকণ্ঠী’ ঝুমুর শিল্পী তথা ‘জঙ্গলমহলের নাইটিঙ্গেল’ হিসেবে পরিচিত ইন্দ্রানী মাহাত, খ্যাতিমান থিয়েটার ও সাহিত্য সমালোচক শমীক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে সমাজসেবা ও মানব কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ বেলপাহাড়ি রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ স্বামী রামাত্মনন্দ (মহারাজ)।
আজ (বৃহস্পতিবার) অর্থাৎ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০৫-তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যমন্ডিত বিবেকানন্দ সভাগৃহে আয়োজিত হয় ষষ্ঠ ‘বিদ্যাসাগর পুরস্কার’ প্রদান অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানেই বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এই তিন গুণী ব্যক্তিত্বের হাতে তুলে দেওয়া হয় মর্যাদাপূর্ণ ‘বিদ্যাসাগর পুরস্কার’।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জেলা, রাজ্য তথা দেশের গুণি ব্যক্তিত্বদের সম্মানিত করার উদ্দেশ্যেই ‘নবজাগরণের অগ্রদূত’ তথা শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারক, ‘বীরসিংহের সিংহশিশু’ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০০-তম জন্মদিন (২০১৯ খ্রিস্টাব্দের ২৬ সেপ্টেম্বর) থেকে ‘বিদ্যাসাগর পুরস্কার’ প্রদান করা হচ্ছে, তাঁরই নামাঙ্কিত মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে। তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক রঞ্জন চক্রবর্তী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যাসাগর দ্বিশত জন্মবর্ষ উদযাপন কমিটির তৎকালীন আহ্বায়ক অধ্যাপক শিবাজী প্রতিম বসু (প্রাক্তন উপাচার্য) জানিয়েছিলেন, “মেদিনীপুরের বীর সন্তান তথা মনীষী ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের নামাঙ্কিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এবার থেকে প্রতি বছরই তাঁর জন্মদিনে (২৬ সেপ্টেম্বর) ‘বিদ্যাসাগর পুরস্কার’ প্রদান করা হবে। এ জন্য নির্দিষ্ট কমিটির কাছে আবেদন করতে হবে।”
ইতিমধ্যেই গত ৫ বছর ধরে বিদ্যাসাগর পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন জেলা, রাজ্য তথা দেশের স্বনামধন্য ব্যক্তিত্বরা। তালিকায় আছেন নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, চিত্তব্রত পালিত, প্রতুল মুখোপাধ্যায়, আবুল বাশার থেকে নলিনী বেরা, ইয়াসিন পাঠান, রোশেনারা খান- প্রমুখ গুণীজনেরা। সেই তালিকাতেই এবার সংযোজিত হয়েছে লোধা-শবরদের জন্য নিবেদিত প্রাণ, ‘পুন্যাত্মা’ স্বামী রামাত্মনন্দ মহারাজ; প্রখ্যাত ‘ঝুমুর শিল্পী’ ইন্দ্রানী মাহাত এবং বর্ষীয়ান সম্পাদক-প্রকাশক, অভিধান রচয়িতা, চলচ্চিত্র-থিয়েটার সমালোচক ও ‘সুচিন্তক’ শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়।