আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ২৭ সেপ্টেম্বর: পুজোয় সময় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। এর জেরে সর্তকতা জারি করল সেচ দফতরের উত্তর- পূর্ব বিভাগ। ২৪ ঘণ্টা নদীর পরিস্থিতির উপর নজরদারি চলছে সেচ দফতরের। প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় নদীর বর্তমান পরিস্থিতির রিপোর্ট সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে দাবি। বৃষ্টির পূর্বাভাষ থাকার কারণে সেচ দফতরের কন্ট্রোল রুম ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত খোলা রাখা হবে শুক্রবার ঘোষণা করা হয় সেচ দফতরের উত্তর- পূর্ব বিভাগের পক্ষ থেকে। নদীর পরিস্থিতি যেন অস্বাভাবিক না হয় এর জন্য পাহাড়ের আবহাওয়া ও বৃষ্টির পরিমাপ জানতে সেচ দফতরের কন্ট্রোল রুম থেকে ভূটান ও সিকিমের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে দাবি সেচ দফতরের।
এদিকে ৪৮ ঘণ্টা থেকে এক টানা পাহাড় ও সমতলে বৃষ্টির জেরে সমতলের একাধিক নদীর জলস্তর বৃদ্ধি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে তিস্তার দোমহনী থেকে মেখলিগঞ্জ হয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় সেচ দফতরের কন্ট্রোল রুম থেকে লাল সংঙ্কেত জারি করা হয়। নদীর জলস্তর এখনও কমেনি। শহরের করলা সহ সব নদীর জল বৃদ্ধি হওয়ায় নিচু এলাকায় জল জমতে শুরু করেছে। পুজোকে কেন্দ্র করে মালবাজারের দুর্গা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে যে দুর্ঘটনা হয়েছিল, দ্বিতীয়বার যেন এরকম ঘটনা না ঘটে সেদিকে জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন সেচ দফতরের উত্তর- পূর্ব বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ার কৃষ্ণেন্দু ভৌমিক। তিনি বলেন, “পুজোয় ফিল্ড স্টাফ, জুনিয়র এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারদের বাড়তি সর্তক থাকার কথা বলা হয়েছে।
তিস্তা পাড়ের বাসিন্দা দীনবন্ধু মাঝি বলেন, “তিস্তার জল বাড়ছে। আমরা আতঙ্কে রয়েছি। গতবছর প্রচুর জল হয়েছিল। এবছর দুই দিনের বৃষ্টিতেই তিস্তার জল বেড়েছে। মাইকিং করা হচ্ছে।”