সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়, ৩০ জানুয়ারি: শহরের জনবহুল এলাকায় পুলিশ পরিচয় দিয়ে অভিনব কায়দায় প্রতারণার ঘটনায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে বাঁকুড়ায়। শহরের ব্যস্ততম ও জনবহুল রাস্তা সুভাষ রোডে ঘটে যাওয়া এই দুঃসাহসিক ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। এক ব্যক্তির সরল বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে সোনার আংটি ও সোনার হার নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের বাসিন্দা সমীর দে ব্যবসায়িক কাজে বাঁকুড়ায় গিয়েছিলেন। তার ডান হাতের পাঁচ আঙুলেই ছিল ৫টি সোনার আংটি ও গলায় ছিল একটি সোনার হার।বুধবার তিনি যখন বাজারে কাজ সারছিলেন সেই সময় আচমকা একটি বাইকে দু’জন যুবক এসে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে সমীরবাবুকে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তির কাছে নিয়ে যায়। সেই ব্যক্তিও নিজেকে পুলিশ আধিকারিক বলে পরিচয় দেন। সমীরবাবুকে সেই ব্যক্তি সতর্ক করে বলেন যে এভাবে সোনার আংটি ও হার পরে বাজারে ঘুরে বেড়ালে চুরি হয়ে যেতে পারে। সেগুলি খুলে নিজের ব্যাগে ভরে রাখার পরামর্শ দেন ওই ব্যক্তি। সেই ব্যক্তির কথামতো সব গয়না খুলে নিজের ব্যাগেও রাখেন তিনি।
তারপরই ওই ব্যক্তি দাবি করেন মাদক পাচার রুখতে তারা অভিযান চালাচ্ছেন। প্রত্যেকের ব্যাগে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তাই সমীরবাবুর ব্যাগও তল্লাশি চালানো হবে। সমীরবাবুর ব্যাগটি টেনে নিয়ে তল্লাশি চালান বাইকে থাকা ওই দু’জন। তল্লাশির পর তারা ব্যাগটি ফেরৎ দিয়ে তিনজনই চলে যান।
পরে সমীর দে নিজের ব্যাগ খুলে দেখেন ব্যাগের মধ্যে রাখা আংটি ও সোনার হার গায়েব। ব্যাগ থেকে এভাবে তার সোনার জিনিস গুলি চুরি হয়ে যাবে তা ভাবতেও পারেননি তিনি। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বিষয়টি জানান তিনি। বাঁকুড়ার সদর থানায় তিনি অভিযোগ জানান। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সেখানকার সিসি ক্যমেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।