আমাদের ভারত, ২ ফেব্রুয়ারি:কেরল ও মহারাষ্ট্রের পর দিল্লিতেই করোনার সবচেয়ে বেশি প্রভাব দেখা গিয়েছিল। এবার সে দিল্লি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে দাবি করলেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। তার কথায় হার্ড ইমিউনিটি গঠনের দিকে এগোচ্ছে দিল্লি।
জৈন জানিয়েছেন দিল্লির প্রতি দুজনের মধ্যে একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেইসব আক্রান্তদের দেহে তৈরি হয়েছে করোনার সঙ্গে লড়াই করার অ্যান্টিবডি। রাজধানীর পঞ্চম সেরো সার্ভে রিপোর্ট এমনই পরিসংখ্যান উঠে এসেছে। দু কোটি জনসংখ্যার দিল্লি ক্রমশ করোনার বিরুদ্ধে হার্ড ইমিউনিটি দিকে এগোচ্ছে।
দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন পঞ্চম সার্ভেতে দেখা যাচ্ছে রাজধানীর ৫৬.১৩ শতাংশ মানুষের দেহে করোনার অ্যান্টিবডি রয়েছে। গত ১৫-২৩ জানুয়ারি এই সার্ভে করা হয়। রাজধানীর ২৮ হাজার মানুষের মধ্যে এই সার্ভে হয়। তবে রিপোর্টে দেখা গেছে উত্তর দিল্লির মানুষের মধ্যে সবচেয়ে কম অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। উত্তর দিল্লিতে ৪৯ শতাংশ মানুষের মধ্যে অ্যান্টিবডি রয়েছে, সেখানে দক্ষিণ দিল্লিতে এই সংখ্যা ৬২.১৮%।
সারাদেশের সাথে দিল্লিতেও দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। বর্তমানে সংক্রমণের হার সেখানে ২০০। কিন্তু এই সময় কোনরকম ঢিলেমি চলবে না। মাস্ক পড়তে হবে বলে সতর্ক করেছেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬৩৫ জন, যা গত ৮ মাসে সর্বনিম্ন। এখনো পর্যন্ত দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১.০৭ কোটি মানুষ। করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১.৫৪ লাখ মানুষের।