সাথী দাস, পুরুলিয়া, ২ ফেব্রুয়ারি: পৌর প্রশাসক সুরেশ আগরওয়াল আজ তিন মাস ধরে প্রশাসনিক মন্ডলীর কোনও বৈঠক ডাকেননি। তিনি একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন। এই অভিযোগ করে প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করলেন ঝালদা পুরসভার প্রশাসনিক মন্ডলীর সদস্য মাহেন্দ্র রুংটা।
মহেন্দ্র বাবু জানান, গত ১০ নভেম্বর বোর্ড অফ এডমিনিষ্ট্রেটিভ মেম্বার হন তিনি। ওই বোর্ডের প্রশাসকের দায়িত্ব পান সুরেশ আগরওয়াল। বোর্ডের সদস্য হন মাহেন্দ্র রুংটা ও কাঞ্চন পাঠক। মাহেন্দ্র রুংটা
আজ তিন মাস পার হয়ে গেলেও কোনও বৈঠক ডাকা বা আলোচনা করে কাজ করেননি। অনেক বলার পর ২৮ জানুয়ারি বৈঠক ডেকে অনুপস্থিত ছিলেন পৌরপ্রশাসক সুরেশ আগারওয়াল। তাই আমি মনেকরি উনি আমাদের অপমানিত করছেন। আমাদের তোয়াক্কা করছেন না। নিজের মতো কাজ করে যাচ্ছেন। এই পদের গুরুত্ব নেই। তাই এই পদ থেকে ইস্তফা দিলাম।
আজই তাঁর ইস্তফা পত্র ঝালদা মহকুমা শাসক ও ঝালদা পৌরসভায় পাঠিয়ে দেন তিনি।
এবিষয়ে ঝালদা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত করণিক গৌতম গোস্বামী জানান, “সহকারি প্রশাসক মাহেন্দ্র রুংটার ইস্তফা পত্র পেয়েছি। তা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে পাঠিয়ে দিচ্ছি।”
তৃণমূল পরিচালিত পুর বোর্ড মেয়াদ শেষ হওয়ায় তিন সদস্য নিয়ে প্রশাসনিক বোর্ড গড়া হয়। প্রশাসক সহ তিন জনই তৃণমূল কংগ্রেসের বিদায়ী কাউন্সিলার। আজকের পদত্যাগ নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগে শাসক শিবির। জেলা তৃণমূল মুখপাত্র নবেন্দু মাহালি বলেন, “কোথাও ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। দলগতভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
অন্যদিকে বিজেপি এটাকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ বলেই থামতে চায়নি। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বিবেক রাঙা বলেন, “কাটমানি ভাগাভাগি নিয়ে ঝামেলার জেরে এই ঘটনা।”