IIT Kharagpur, কিউএস বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ৪৯ ধাপ উপরে উঠে এল আইআইটি খড়্গপুর

আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ জুন:আইআইটি খড়্গপুরের মুকুটে ফের নয়া পালক। সারা পৃথিবীর কাছে অভূতপূর্ব সাফল্য দেশের প্রযুক্তিবিদ্যার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের। কিউএস বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে (QS World Ranking-2025) অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করল আইআইটি খড়্গপুর। কিউএস বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ৪৯ ধাপ উপরে উঠে এল আইআইটি খড়্গপুর। দেশের প্রথম সারির প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে শিক্ষা গবেষণা এবং পরিকাঠামোর নিরিখে দেশের মধ্যে চতুর্থ স্থান ধরে রাখল প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠানটি। এই খবর আসার পর খুশির হাওয়া আইআইটি খড়গপুরে।

লন্ডনের কুয়াকুয়ারেলি সাইমন্ডস (Quacquarelli Symonds) সংস্থার তরফে বুধবার (৬ জুন) প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, সার্বিক বিচারে ভারতের আইআইটি বম্বে (IIT Bombay) সারা বিশ্বে এবার ১১৮-তম স্থান দখল করেছে। গত বছর (২০২৪) বম্বে আইআইটি’র র‌্যাঙ্ক ছিল ১৪৯। দেশে যথারীতি প্রথম স্থান ধরে রেখেছে আইআইটি বম্বে। এরপর যথাক্রমে আইআইটি দিল্লি (IIT Delhi), আইআইএসসি ব্যাঙ্গালোর, আইআইটি খড়্গপুর ও আইআইটি মাদ্রাজ দেশে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।

আইআইটি সূত্রে খবর, ২৭১ থেকে ২২২- এ উঠে এসেছে আইআইটি খড়্গপুর। সার্বিক বিচারে সারা বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় ৪৯ ধাপ উঠে এসেছে দেশের প্রাচীনতম এই প্রযুক্তিবিদ্যার পীঠস্থান। প্রসঙ্গত, শিক্ষা বিজ্ঞান গবেষণা সহ একাধিক ক্ষেত্রে মান যাচাই করে এই র‌্যাঙ্ক করা হয়। র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেছে আইআইটি মাদ্রাজ (২৮৫ থেকে ২২৭) সহ অন্যান্য আইআইটি গুলিও।তবে আইআইটি বোম্বের মতই বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেছে বাকি আইআইটিগুলিও।

আইআইটি দিল্লি ১৯৭ থেকে এবার উঠে এসেছে ১৫০-এ। আইআইএসসি ব্যাঙ্গালোর ২২৫ থেকে উঠে এসেছে ২১১-তে। প্রসঙ্গত, গবেষণা ও শিক্ষার মান, পড়ুয়া ও গবেষকদের কৃতিত্ব, অধ্যাপকদের মান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অনুপাত, আন্তর্জাতিক ফ্যাকাল্টি বা অধ্যাপকদের সংখ্যা, বিদেশি পড়ুয়াদের সংখ্যা, আবিষ্কার, ক্যাম্পাসিং বা কর্মসংস্থান এবং আন্তর্জাতিক গবেষণার মান- প্রভৃতি ৯টি প্যারামিটার বা মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে এই র‌্যাঙ্কিং নির্ধারণ করে। আইআইটি খড়্গপুর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ৪৯ ধাপ উঠে আসা নিঃসন্দেহে কৃতিত্বের ও গর্বের।

ভারতের প্রাচীনতম এই আইআইটি-তে আন্তর্জাতিক ফ্যাকাল্টি ও পড়ুয়ার সংখ্যা এবং শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় সারা বিশ্বের প্রথম ১০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় আসতে পারেনি। তবে, গবেষণার মান এবং অধ্যাপক ও বিজ্ঞানীদের ধারাবাহিক কৃতিত্বের জোরেই ক্রমশ উন্নতি করে চলেছে। প্রতিষ্ঠানের এহেন সাফল্যে খুশি পড়ুয়া, গবেষক থেকে অধ্যাপক ও অধ্যাপিকারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *