পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ৮
জুন: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক মহকুমার একটি গুরুত্বপূর্ণ নিকাশী খাল হলো গঙ্গাখালি খাল। ওই খালের হরশংকর-গড়কিল্লা বাজার সংলগ্ন স্থানে পিএইচই দপ্তর নিয়োজিত এক ঠিকাদার গত ৬ জুন থেকে পানীয় জল নিয়ে যাওয়ার জন্য পাইপলাইন তৈরির কাঠামো তৈরী করছে। যেভাবে কাঠামো তৈরী করছে তাতে খালের সমস্ত রকম আবর্জনা ওই কাঠামোতে আটকে বর্ষার সময় জলনিকাশী ভীষণভাবে ব্যাহত হবে। অবিলম্বে ওই কাঠামো তৈরী বন্ধ সহ এমনভাবে কাঠামো তৈরী করতে হবে যাতে খালের মূলস্রোতে কোনো থাম না থাকে, সেইমত অতি সত্বর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানিয়ে আজ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা-ভাঙ্গন প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে পিএইচই সেচ প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিকের নিকট স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক অভিযোগ করেন, সেচ দপ্তরের ওই নিকাশী খাল দিয়ে কোলাঘাট ব্লকের দেড়িয়াচক, তমলুক ব্লকের নীলকুন্ঠা ও বল্লুক-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ২৫টি মৌজার জলনিকাশী হয়। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে ওই খালটি মজে গিয়েছে। তার উপর খালে ঐ ধরনের কাঠামো তৈরী হলে এলাকার জলনিকাশী ভীষণভাবে বিঘ্নিত হবে। সেই জন্য আজ উপরোক্ত দাবিতে জেলা শাসক, সেচ দপ্তরের একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, পিএইচই দপ্তরের একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের নিকট স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
অবিলম্বে ওই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে কমিটি বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে বলে নারায়ণবাবু জানান।