Kiren Rijiju, BJP, মোদী সরকার ক্ষমতায় না এলে সংসদও ওয়াকফ সম্পত্তি হয়ে যেত, সংসদে সংশোধনী বিল পেশ করতে গিয়ে দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

আমাদের ভারত, ২ এপ্রিল: বিরোধীদের প্রবল হই হট্টগোলের মধ্যেই লোকসভায় পেশ হলো ওয়াকফ সংশোধনী বিল। এই বিল পেশ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজু নিজের বক্তব্যে দাবি করলেন, মোদীজি না থাকলে সংসদও ওয়াকফ সম্পত্তি হয়ে যেত। পাশাপাশি তিনি জানান, মুসলিমদের ভালোর জন্যই ওয়াকফ সংশোধনী বিল। যদিও বিরোধীদের দাবি, ওয়াকফ সংশোধনী বিল অসংবিধানিক এবং মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপকারী।

বিরোধীদের দাবি উড়িয়ে বুধবার কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রী কিরণ রিজিজু বলেন, ওয়াকফ বোর্ডে স্বচ্ছতা আনতেই এই বিল আনা হচ্ছে। বিরোধীদের বিঁধে মন্ত্রীর চাঞ্চল্যকর দাবি, “আমরা আজ বিল সংশোধন না করলে যে সংসদে আমরা বসে আছি, তাও ওয়াকফ বোর্ড নিজেদের সম্পত্তি বলে দাবি করত। নরেন্দ্র মোদী সরকারে না এলে না জানি কত বিল্ডিং চলে যেত।

রিজিজু বলেন, দিল্লিতে ১৯৭০ সাল থেকে একটি মামলা চলছে। সিজিও কমপ্লেক্স, সংসদ ভবন, অনেক সম্পত্তি রয়েছে, যা দিল্লি ওয়াকফ বোর্ড নিজেদের বলে দাবি করেছে। এই মামলা আদালতে চলছে। সেই সময় ইউপিএ সরকার সমস্ত জমির ডি নোটিফাই করে ওয়াকফ বোর্ডকে দিয়ে দেয়৷ যদি আজ আমরা এই সংশোধনী না আনতাম তাহলে আমরা যে সংসদে বসে আছি সেই সংসদ ভবনকেও ওয়াকফ সম্পত্তি বলে দাবি করা হতো। যদি নরেন্দ্র মোদী সরকার না আসতো, যদি ইউপিএ সরকার চলতো তাহলে বহু বিল্ডিংকে ডি নোটিফাই করা হতো। ১২৩ টি সম্পত্তিকে তো ডি নোটিফাই করা হয়েছিল।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, ভারতে বিশ্বের বৃহত্তম ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে। এর ব্যবহার দরিদ্র মুসলিমদের শিক্ষা, চিকিৎসা, দক্ষতা বিকাশ, আয় তৈরীর জন্য কেন করা হয়নি? এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো উন্নতি হয়নি কেন? যদি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এই সরকার দরিদ্র মুসলিমদের উন্নতির জন্য কাজ করে তাহলে এতে আপত্তি কোথায়?

মন্ত্রীর বক্তব্য সরকার কোনো ধর্মীয় সংগঠন বা তাদের কার্যকর্মের মধ্যে পড়ছে না। কোনো মসজিদের সম্পত্তিতে হস্তক্ষেপ করছে না। ওয়াকফ বোর্ডের সঙ্গে ধর্মের কোনো যোগ নেই। সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয় এটি। এরপরই তিনি দাবি করেন যে, মুসলমানদের ভালোর জন্য ওয়াকফ বিল আনছে মোদী সরকার।

যদিও কংগ্রেস, তৃণমূল সহ বিরোধী পক্ষের বক্তব্য, মিথ্যা দাবি করছেন রিজিজু। কংগ্রেস, তৃণমূল, আরজেডি, সমাজবাদী পার্টি, এনসিপি, বাম দলগুলি ছাড়াও বিরোধী শিবিরের প্রায় সব দল সম্মিলিতভাবেই বিলের বিরোধিতা করছে। ৮ ঘন্টা বিরোধীরা এই বিলের ওপর আলোচনার সুযোগ পাবে। রাজ্যসভায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল পেশ হতে পারে বৃহস্পতিবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *