আমাদের ভারত, ১২ ফেব্রুয়ারি: উত্তরপ্রদেশ হলে শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারদের এনকাউন্টার হয়ে যেত। এভাবেই সন্দেশখালির মহিলাদের ওপর নিদারুন অত্যাচারের অভিযোগে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সরব হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
সুকান্ত মজুমদারের কথায়, “এই সমস্ত লোককে এনকাউন্টার করে মারা উচিত। লোক দেখাতে এখন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, দু’দিন বাদেই ছেড়ে দেওয়া হবে। এটা যোগীজির উত্তরপ্রদেশ হলে শেখ শাজাহান, শিবু হাজরার বাড়ির লোক এতক্ষনে শ্মশানে অপেক্ষা করত।
ইডি আধিকারিকদের মার খাওয়ার ৩৭ দিন পর এখনো অধরা শেখ শাহজাহান। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “দুষ্টু ছেলেদের ডাকলে তারা আসে না, কান ধরে নিয়ে আসতে হয়।”
রাজ্যসভায় এবার তৃণমূলের তিনজন মহিলা প্রার্থী। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রাজ্যসভায় গেলে সংশ্লিষ্টরা লাভবান হবে অবশ্যই। কিন্তু সেই মহিলাদের কী হবে যাদের শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরারা অত্যাচার করে। দিনের পর দিন যারা এই অত্যাচারের শিকার, সেই সমস্ত মহিলাদের কথা ভেবে দেখেছেন একবারও? তারা কেন সভায় যাবেন? তাদের বিধানসভা বা রাজ্যসভায় স্থান হচ্ছে না।”
সন্দেশখালিতে বিজেপি নেতা বিকাশ সিং এবং সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে পুলিশের ভূমিকার নিন্দা করেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, “উত্তম থানায় বসে ছিল। আর পুলিশ নির্লজ্জের মতো বলছিল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই। তার বিরুদ্ধে গর্হিত অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। মহিলাদের অত্যাচার করেছে তারপরেও পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি। পাল্টা বিজেপি কনভেনারকে গ্রেফতার করেছে। সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক সেখানে ছিলেনই না, তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ব্যালেন্স করার চেষ্টা চলছে।”
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তুলোধোনা করে সুকান্ত তথ্য চেপে যাওয়ার অভিযোগ করেন মু্খ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন না যে, এখানে যে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে সেটা গোটা দেশ জানুক। জানলে তো রাজ্যের অন্য জায়গাতেও হয়তো মহিলারা মুখ খুলবেন। এই ধরনের অপরাধ করার পরেও অপরাধীরা কেন বহাল তবিয়েতে ঘুরে বেড়াবে তা জানতে চাইবেন। বিজেপি নেতা বলেন, লক্ষ্মীর ভান্ডারের হাজার টাকায় মহিলাদের ইজ্জত লুট করা হয়। এদের এনকাউন্টার করে মেরে ফেলা উচিত। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে এরা কিভাবে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।