আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ২ ডিসেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা থানা এলাকার রামপুরা গ্রামে এক গৃহবধূকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করেছে মদ্যপ স্বামী। মৃতার নাম রাধা রানী পাল, বয়স আঠাশ বছর। ঘটনার পর থেকেই পলাতক স্বামী ভোলানাথ পাল। পিংলা থানার পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পাল দম্পতির সাত বছরের ছেলে সৌম্যদীপ সকালে মাকে বিছানায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ডাকাডাকি করে কোনও সাড়া না পেয়ে সে তার কাকুর বাড়িতে গিয়ে খবর দেয়। এরপর সবাই এসে রাধারাণীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে মাথার পিছনের দিকে একাধিক জায়গায় ভারী কোনও বস্তু দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কপালের বাম দিকেও আঘাত করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোলানাথ পাল অত্যন্ত মদ্যপ ছিলেন। নেশার ঘোরে তাকে রাস্তাঘাটে পড়ে থাকতে দেখা যেত। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝে মধ্যে অশান্তি হত।
দশ বছর আগে বেলদা থানার তুতরাঙ্গা গ্রামের রাধারানীর সঙ্গে ভোলানাথের বিয়ে হয়েছিল। তখন থেকেই পিংলার জামানা বাজারে ভোলানাথের একটি সোনার দোকান ছিল। বছর তিনেক আগে সেই দোকানে চুরি হওয়ার পর তাদের সংসারে বিপর্যয় নেমে আসে। এরপর ক্রমশ মদের নেশায় ডুবে যেতে থাকে ভোলানাথ। মাঝখানে কয়েক মাস নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে ছুটে এসেছেন বাবা হীরালাল জানা। ভোলানাথের বিরুদ্ধে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
হীরালাল বাবু জানিয়েছেন, মেয়ের ওপর প্রায় দিনই অত্যাচার করত ভোলানাথ। অনেকবার আলোচনায় বসে জামাইকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু কোনও কথাই শুনতে চায়নি সে। অভিযোগ পাওয়ার পর পলাতক ভোলানাথের খোঁজ শুরু করেছে পিংলা থানার পুলিশ।