কুমারেশ রায়, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ জানুয়ারি: ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের জন্য উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হলো ঘাটাল মহকুমা শাসকের কার্যালয়। ঘাটাল মাস্টার প্যানের কাজ শুরু হবে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে। ২০২৮ সালের মার্চ মাসে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শেষ হওয়ার পরিকল্পনা বলে জানান ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ দেব।
এদিনের বৈঠকে ছিলেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইঞা,ইরিগেশন দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি মণীশ জৈন, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরি, এস পি ধৃতিমান সরকার, ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ দেব, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভা মাইতি, সহ-সভাপতি এবং বিধায়ক অজিত মাইতি, জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ আশীষ হুদাইত সহ অন্যান্য আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা। ছিলেন অন্যান্য আধিকারিক ও বাস্তুকার। ফেব্রুয়ারি মাসে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানর কাজের সূচনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে হওয়ার সম্ভাবনা বলে জানান মন্ত্রী মানস ভুঁইঞা। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের মধ্যে ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, পাঁশকুড়া মিলিয়ে ৮টা ব্লক এবং ঘাটাল শহর গ্রামীণ এবং পাঁশকুড়া পৌরসভা ধরা হয়েছে।
এদিন মন্ত্রী এবং সাংসদ বলেন, কারো জমি জোর করে নেওয়া হবে না। পাঁচটা সাব কমিটি তৈরি করা হবে। সেই সাব কমিটি মানুষের কাছে যাবে এবং তাদের বোঝানো হবে। ছবি দেখানো হবে এবং প্রজেক্ট বলা হবে। আগামী দু-একদিনের মধ্যেই এই কাজ শুরু হবে। ১৪৮ কিলোমিটার নদী পাড়ে পাঁচিল দেওয়া হবে। এছাড়াও চন্দ্রেশ্বর খালে ৬ কিলোমিটার খনন হওয়ার কথা, তাহলে কোনো ক্ষতি হবে না, সেই বিষয়েওই এলাকার মানুষদের বলা হবে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য প্রয়োজন জমি। সরকারি জমি থাকলেও আরো জমি প্রয়োজন। যারা জমি দেবেন এবং জমির উপর যদি কনস্ট্রাকশন থাকে তাহলে সেই মতো মূল্যায়ন করা হবে। ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের মধ্যে আছে বিভিন্ন খাল সংস্কার এবং স্লুইস গেট তৈরি।
এদিনের বৈঠকে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এরপরে সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী সাংসদ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এই কথাগুলি বলেন। বৈঠকের আগের দিন অর্থাৎ সোমবার ঘাটালের হরিশপুর, প্রতাপপুর এবং দাসপুর ব্লকের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন ইরিগেশন দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি।
উল্লেখ্য, ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যা প্লাবিত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষি, গ্রামীণ অর্থনীতি।
ভোটের সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মাস্টারপ্ল্যান রূপায়ণের প্রতিশ্রুতি দেয় এবং চলে কেন্দ্র রাজ্যর পারস্পরিক দোষারোপ। লোকসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, রাজ্য সরকার নিজেদের অর্থে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত করবে। ঘাটালের সাংসদ দেব মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণ করার শর্তে লোকসভার প্রার্থী হতে রাজি হন। মাস্টার প্ল্যানের জন্য তৈরি হয়েছে মনিটরিং কমিটি।