পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ জানুয়ারি: মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে বিষ স্যালাইন কাণ্ডে প্রসূতি এবং শিশু মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিআইডি তদন্ত শুরু হয়েছে। সিআইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই রিপোর্ট জমা দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরে। সিআইডি রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে স্বাস্থ্য দপ্তর ইতিমধ্যেই মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের জুনিয়র- সিনিয়র চিকিৎসক, নার্স এবং সুপার সহ ১৩ জনকে সাসপেন্ড করেছে। আর এই সাসপেনশন অবৈধ বলে দাবি করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ জুনিয়র ডাক্তাররা।
মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে প্রসূতি মৃত্যু কান্ডে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য সচিবের গ্রেফতারের দাবিতে নাগরিক সমাজের ডাকে আজ মেদিনীপুর শহরে প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। সেইমতো মঙ্গলবার বেলা বারোটা নাগাদ মেদিনীপুর শহরের স্পোর্টস কমপ্লেক্স থেকে শুরু হয় এই মিছিল। শহরের পঞ্চুর চক, গোলকুয়া, বটতলাচক হয়ে রিং রোড পরিক্রমা করে এই মিছিল। মিছিলে জাতীয় পতাকা নিয়ে পা মেলান কয়েকশো কর্মী।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ডাক্তাররা হলো জাতীয় সম্পদ, তাই মেদনীপুর সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার সাধারণ নাগরিকরা জাতীয় পতাকা হাতে ডাক্তারদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে পথে নেমে মিছিল করছে। এই স্যালাইন কাণ্ডে মূল যারা অভিযুক্ত, সেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য সচিবকে গ্রেফতার করতে হবে। পাশাপাশি যে প্রসূতি মারা গেছে তার পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং একটি স্থায়ী চাকরি দিতে হবে।