সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ৮ সেপ্টেম্বর: স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় স্বামীকে খুন করার অভিযোগ উঠল গৃহবধূ ও তার প্রমিকের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রের খবর, গৃহবধূ তার প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে প্রথমে স্বামীকে মারধর করে, পরে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে গৃহবধূর বিরুদ্ধে। অভিযোগ আরও গুরুতর হয়ে ওঠে যখন ঘর থেকে স্বামীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার নিমতলা এলাকায়। স্ত্রী এবং তার প্রেমিকই খুনের ঘটনায় জড়িত, এই অভিযোগে তাদের মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় প্রতিবেশীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত গৃহবধূর নাম পূজা কুন্ডু।রবিবার সকালে নিমতলার বাসিন্দা রাজু কুণ্ডুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ঘর থেকে। গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ওই দেহ চোখে পড়ে প্রতিবেশীদের। তারা তৎক্ষণাৎ বনগাঁ থানার পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এটা আত্মহত্যা নাকি খুন করে ওভাবে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
প্রতিবেশীদের অভিযোগ, স্ত্রী পূজা কুণ্ডু নিজের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে ‘বাধা’ কাটাতেই রাজুকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছে। এতে তাকে সাহায্য করেছে প্রেমিক অনিল মালও।
পরিবার ও প্রতিবেশীদের সূত্রে খবর, মাস সাতেক ধরে রাজুর স্ত্রী পূজার সঙ্গে বনগাঁ কুড়ির মাঠ এলাকার অনিল মালের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। এনিয়ে মাঝে মধ্যেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গন্ডগোল চলত। মাস তিনেক আগে স্বামী ও তিন সন্তানকে রেখে পূজা বাড়ি ছেড়ে অনিলের সঙ্গে থাকতে শুরু করে। পরে রাজু ও পরিবারে লোকজন তাকে বুঝিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। অনিলকে নিয়ে তার পরেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি, গন্ডগোল হতো। অভিযোগ, শনিবার রাতে পূজার প্রেমিক অনিল রাজুকে বেধড়ক মারধর করে বলে জান যায়। ভোর রাতে ঘর থেকে উদ্ধার হয় রাজুর ঝুলন্ত দেহ। তা জানতে পেরে উত্তেজিত হয়ে পড়েন প্রতিবেশীরা। অভিযুক্ত পূজা ও অনিলকে বেধড়ক মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সকালে বনগাঁ থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ওই গৃহবধূকে গ্রেফতার করে।