আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ৪ মে: বীরভূম লোকসভায় বিজেপির আর প্রার্থী বদল হচ্ছে না। একথা জানিয়ে দিলেন বিজেপি প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্য। এনিয়ে তৃণমূল চক্রান্ত করছেন বলে তাঁর অভিযোগ। একই সঙ্গে দলের কেউ কেউ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন দেবতনুবাবু।
প্রসঙ্গত, বীরভূম লোকসভায় বিজেপি প্রার্থী হিসাবে প্রথমে মনোনয়ন জমা দেন প্রাক্তন আই পি এস অফিসার দেবাশিস ধর। কিন্তু মনোনয়ন বাছাই পর্বে দেবাশিসবাবুর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। জেলা নির্বাচনী আধিকারিক জানিয়ে দেন, বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়নে রাজ্য সরকারের ‘নো ডিউস’ জমা দেননি। তাই তাঁর মনোনয়ন বাতিল করা হল। বিজেপির পক্ষ থেকে বিষয়টি জানতে পেরে আগেই দেবতনু ভট্টাচার্য নামে অন্য এক দলীয় কার্যকর্তাকে দিয়ে মনোনয়ন জমা করান। দেবতনুবাবু কট্টর হিন্দুসংগঠন হিন্দু সংহতির সভাপতি ছিলেন। দেবাশিসবাবুর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাওয়ার পর দেবতনুবাবুই বিজেপি প্রার্থী হিসাবে সরকারিভাবে স্বীকৃতি পেয়ে যান। সেই মতো তিনি প্রচার শুরু করেন।
এদিকে মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আদালতে যান দেবাশিস ধর। আদালত তাঁকে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। সেই মতো তাঁর আইনজীবী জাতীয় নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন। কাকতলীয়ভাবে শুক্রবার কমিশন জানিয়ে দেয়, নো ডিউস না থাকলে কারও মনোনয়ন বাতিল করা যাবে না। এনিয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ফের কানাঘুষো শুরু হয়, দেবাশিস ধর ফের প্রার্থী হচ্ছেন।
কিন্তু শুক্রবার আমোদপুরের মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, দেবতনু ভট্টাচার্য তাদের বীরভূম লোকসভার প্রার্থী। ফলে দলের পক্ষ থেকে পরিস্কার জানিয়ে দেওয়া হয় দেবতনু ভট্টাচার্যই বীরভূম লোকসভায় তাদের প্রার্থী। শনিবার রামপুরহাটের সুঁদিপুর মোড়ে চায়ে পে চর্চা অনুষ্ঠানে দেবতনুবাবু পরিস্কার জানিয়ে দেন, তিনিই বিজেপি প্রার্থী। সেকথা প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করে গিয়েছেন। তিনি বলেন, “তৃণমূলের চক্রান্তে দেবাশিসবাবুর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। ওরা ভেবেছিল দেবাশিসবাবুর মনোনয়ন বাতিল হলে ফাঁকা মাঠে জয়ী হবে। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। কেউ কেউ বিভ্রান্তি ছড়াতে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা দলের কেউ নয়। মানুষই এই অপপ্রচারের জবাব দেবেন। দেবাশিসবাবু প্রার্থী না হলেও তিনি আমার সঙ্গে রয়েছেন। তিনি আমার হয়ে প্রচার করবেন। তৃণমূল যে চক্রান্ত করেছিল তা বিফলে যাবে।”