নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যারাকপুর, ৪ মে:
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে রাজভবনের এক মহিলা কর্মীর আনা শ্লীলতাহানির ঘটনায় তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। আর এই ঘটনা নিয়ে চুপ নেই নজরকাড়া কেন্দ্র ব্যারাকপুর ও দমদম লোকসভা কেন্দ্রের রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা ।
প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার সন্ধেয় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন রাজভবনের এক মহিলা। ওই মহিলা রাজভবনের অস্থায়ী কর্মী। প্রচারের ফাঁকে সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন দমদম এবং ব্যারাকপুর কেন্দ্রের প্রার্থীরাও।
অন্যান্য দিনের মতই রোদ আর গরমকে উপেক্ষা করে সকাল থেকেই প্রচার চালাচ্ছেন ব্যারাকপুর কেন্দ্রের বিজেপি ও তৃণমূল প্রার্থী অর্জুন সিং এবং পার্থ ভৌমিক। অপর দিকে এদিন জোর কদমে প্রচার করতে দেখা গেলো দমদম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্তকে।
এদিন সকালে বীজপুর বিধানসভার চৌমাথা বাজার হয়ে হালিশহর চিত্তরঞ্জন মোড় পর্যন্ত জনসংযোগ কর্মসূচি করেন ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। সেই প্রচারের ফাঁকে
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। তিনি এদিন বলেন, “মমতা ব্যানার্জি বাংলার সংস্কৃতিকে নষ্ট করছেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পুলিশমন্ত্রী হয়ে পুলিশের অপব্যবহার করছেন। সংখ্যালঘু বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধেও শ্লীলতাহানির অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই কেসটা টেকেনি। এখন সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপালকেও অপমানিত করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন সব কাজ করছেন যার জন্য বাংলা ও বাঙালিদের, বিশেষ করে বাংলার মহিলাদের মানসম্মান নষ্ট হচ্ছে।”
অপর দিকে এদিন কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে দমদমের বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত রহড়া মধ্যেপাড়া রিক্সা স্ট্যান্ড থেকে ঘর ঘর প্রচার শুরু করে পুরো ৯ নম্বর ওয়ার্ডটির বিস্তীর্ণ এলাকা পরিক্রমা করেন। এদিন তিনিও প্রচারের ফাঁকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপালের প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন,
যদি দোষী প্রমাণিত হন ,রাজ্যপাল শাস্তি পাবেন। কিন্তু তার আগে বিষয়টি বিচার করে দেখা হোক ঘটনাটা কতটা সত্যি আর কতটা সাজানো।”
রাজভবনে মহিলার শ্রীলতাহানীর ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ভিত্তিতে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস তার পদত্যাগ দাবি করেছেন। এদিন সাংবাদিকদের করা এই প্রশ্নের জবাবে বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত’র মন্তব্য, কে রাজ্যপালের পদত্যাগ দাবি করল সেটা বড় কথা নয়। আগে প্রমাণ হোক। তৃণমূলের আমলে এইধরণের অনেক মিথ্যা কেসে ভরপুর কথাবার্তা অনেকের বিরুদ্ধেই বলা হয়েছে। তবে সত্যিই যদি দোষী প্রমাণিত হন, রাজ্যপাল শাস্তি পাবেন। কিন্তু আগে বিচার করে দেখা হোক বিষয়টি কতটা সাজানো এবং কতটা সত্য।