Sukanta, BJP, TMC, তৃণমূল নেতাদের কলার ধরে এখুনি টাকা আদায় করুন, এসএসসি’র অযোগ্য প্রার্থীদের পরামর্শ সুকান্ত মজুমদারের

আমাদের ভারত, ২৫ এপ্রিল: ২০১৬-র এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের নজিরবিহীন রায়ে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হয়েছে। আর এই ঘটনায় তোলপাড় চলছে রাজ্য রাজনীতিতে। বিরোধীরা দাবি করেছেন, তৃণমূল সরকারের কারণেই যোগ্য প্রার্থীরা চাকরিহারা হয়েছেন। একই সঙ্গে সিবিআইকে এই দুর্নীতি মামলায় তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এবার সিবিআই অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা চেয়ে শিক্ষা দপ্তরকে চিঠি দিয়েছে।

এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন। অযোগ্য প্রার্থীদের প্রতি তাঁর পরামর্শ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যাদের হাতে টাকা দিয়েছিলেন কলার ধরে সেই টাকা আদায় করুন।

যোগ্য- অযোগ্যের তালিকা আদালত চাইলেও কমিশন দেয়নি বলেই পুরো নিয়োগ বাতিলের পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছে আদালত। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন, অযোগ্যদের বাঁচাতে যোগ্যদের ভাল করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, যার কাছে টাকা দিয়েছিলেন সেই টাকা আদায় করূন। সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, ২৫ হাজারের বেশি চাকরি চলে গেল। এদের মধ্যে বেশিরভাগটাই যোগ্য। অযোগ্য এদের মধ্যে অল্প সংখ্যক রয়েছে, পাঁচ হাজারের মতো। স্বাভাবিকভাবে এই পাঁচ হাজার জনকে বাঁচানোর জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের এই মরিয়া চেষ্টা কেন সেটা বোঝা যাচ্ছে না। সিবিআই তদন্ত করবে এবং তাতেই পরিষ্কার হয়ে যাবে দুধ এবং জল সব আলাদা হয়ে যাবে।”

বিজেপির রাজ্য সভাপতির পরামর্শ, “যাদের অযোগ্য বলা হচ্ছে, যে পাঁচ হাজার জন টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন আমি তাদেরকে বলব লোকসভা ভোটের পর তৃণমূলকে খুঁজে পাবেন কিনা ঠিক নেই। তাই এখুনি যে সমস্ত নেতাদের টাকা দিয়েছিলেন তাদের বাড়ি বাড়ি যান, কলার ধরুন, টাকাটা ফেরত নিয়ে নিন অন্তত। তারপর কোর্টে মামলা চলবে, চাকরি থাকবে, না থাকবে সেটা পরের বিষয়। কিন্তু অন্ততপক্ষে যে টাকাটা দিয়েছিলেন ১০ লাখ, ১৫ লাখ, ২০ লাখ সেই টাকা লোকাল তৃণমূলের দালালকে ধরে তাদের কাছ থেকে টাকাটা আদায় করে নিন।

প্রসঙ্গত, এর আগে যোগ্য প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে সুকান্ত মজুমদার আগেই বলেছেন, “এসএসসির যোগ্য প্রার্থী যারা চাকরি হারা হয়েছেন তাদের আমরা আইনি সহযোগিতা করব। ব্যক্তিগত ভাবে কয়েকজন এই বিষয়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তাদেরকে আমরা বলেছি আপনারা অর্গানাইজেশন তৈরি করে আমার সাথে বসুন। তাদেরকে আমি আইনি সাহায্য করবো, কারণ আমি মনে করি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ্যদের শিখন্ডি করলেন অযোগ্যদের বাঁচানোর জন্য। ৫ হাজারকে বাঁচানোর জন্য ২০ হাজারে চাকরি উনি জলে ফেলে দিলেন। তাদের পাশে আমরা আছি।”

তিনি আরো বলেন, “যারা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছে তাদের চাকরি যাবে, এটা স্বাভাবিক, কিন্তু যারা যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে চাকরি পেয়েছেন তাদের চাকরি থাকা উচিত।” তাঁর দাবি, “যারা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছে তারা দোষী, কিন্তু তাদের থেকেও তারা বেশি দোষী যারা চাকরি বেচার ব্যবস্থা করেছে। আপনি চাকরি বেচার ব্যবস্থা করেছেন বলেই লোকে কিনেছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *