আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগনা, ৫ মার্চ: দোলের আগে চরম ব্যস্ততায় গোবরডাঙ্গার গাঁজা ব্যবসায়ীরা। নিষিদ্ধ মদক গাঁজা। এই গাঁজা এখন রমরমা উত্তর ২৪ পরগণার গোবরডাঙ্গার, মছলন্দপুর, বিধানপল্লি সহ শক্তিনগর এলাকায়। গাঁজা ব্যবসায়ীদের হাতে সময় খুব কম। দিন রাত চলছে গাঁজার পুড়িয়া বানানোর কাজ। কারণ আর দুদিন পরেই দোল।
দোলে রং খেলার সঙ্গে সঙ্গে আরও একটি বিষয় জড়িত থাকে সেটি হল নেশার জিনিস। এই দিনে মদের সঙ্গে ভাঙ, সিদ্ধি ও তাঁর সঙ্গে গাঁজা তো আছেই। তাঁর জন্য গাঁজার একটা বড় চাহিদা হয়। সেই গাঁজা সাপ্লাই দিতে এখন গাঁজা ব্যবসায়ীদের চরম ব্যস্ততা। বিশেষ বিশেষ দিনে তাঁদের গাঁজার ব্যবসা ফুলেফেপে ওঠে। এই গাঁজার বড় কয়েকটা কেন্দ্র গোবরডাঙ্গা, মছলন্দপুর এলাকার বিভিন্ন পানের দোকানে, পাড়ার মোড়ে, এমনকি সিনেমাহল গুলির আশপাশে খোঁজ করেলেই পাওয়া যায়। এই অঞ্চল গুলিতে বহু গাঁজার ব্যবসায়ী আছে। তাঁরা গাঁজা এনে ভালো করে ঝাড়পোচ করে পুড়িয়া তৈরি করে। এরপর এলাকার পানবিড়ির দোকান থেকে বিভিন্ন জায়গায় সাপ্লাই দেয়। তারপর সেটি চলে যায় নেশারুদের হাতে।
এদিন খোঁজ নিতে গিয়ে এক বাড়ির মধ্যেই ঢুকে পড়লাম, সেখানে গিয়ে দেখা গেল এক ৫০ উর্দ্ধ মহিলা নাম আরতি মণ্ডল, কুলো করে গাঁজার ঝাড়পোচ করছেন, তাঁর কাছ থেকে জানতে পারলাম এই অঞ্চলে ঘরে ঘরে গাঁজার ব্যবসা। গাঁজা আসে বাইরে থেকে, মহাজনদের কাছ থেকে কিনে ভাল করে ঝেড়েপুচে পুড়িয়া তৈরি করেন। এরপর সেগুলি অর্ডার অনুযায়ী দোকানে সাপ্লাই করা হয়। তিনি বলেন, সামনেই হোলি তাই অর্ডারও খুব বেশি। রাতভোর গাঁজার পুড়িয়া করেছি। এক পুড়িয়া ২০ টাকা বিক্রি। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশকে রিতি মতো মাসোহারা দিতে হয়। এক মাস দিতে দেড়ি হলেই বাড়িতে হামলা চালায় পুলিশ।