আশিস মণ্ডল, সিউড়ি, ২২ ফেব্রুয়ারি: সাত সকালে উদ্ধার হল যুগলের মৃতদেহ। গাছের মধ্যে একটি দড়িতেই গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে তারা। তবে যুবকের দেহ পড়েছিল গাছের নিচে মাটিতে। পুলিশ মনে করছে যুবকের ভারে দড়ি ছিঁড়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম গোপাল বাগদি (২১), কিশোরীর নাম সুপ্রিয়া বাগদি (১৭)। তাদের দু’জনেরই বাড়ি বীরভূমের দুবরাজপুর থানার বক্রেশ্বর গ্রামে। গোপাল ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করে। দিন দশেক আগে বাড়ি ফিরেছে। সুপ্রিয়া স্থানীয় তাঁতিপাড়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তাদের দু’জনের মধ্যে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। দুই পরিবার সেটা জানত বলে দাবি গোপালের বাবা আনন্দ বাগদির। তিনি বলেন, “আমাদের সামনাসামনি বাড়ি। ওদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। আমরা জানতাম। কিন্তু ছেলে কোনদিন আমাদের বলেনি। আমরা কোনদিন আপত্তিও করিনি। দিন দশেক আগে ভিন রাজ্য থেকে শ্রমিকের কাজ করে ফিরেছে ছেলে। শুক্রবার একসঙ্গে জমিতে জল দিয়েছি। রাত দশটার পর থেকে দু’জনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আমরা রাতে আত্মীয়দের বাড়িতে খোঁজখবর করি। দুই পরিবার ঠিক করেছিলাম ওরা বিয়ে করলে আমরা মেনে নেব। কিন্তু সকাল বেলায় মৃত্যুর সংবাদ পাই।”
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামের বাইরে জ্যোর্তিমাঠে একটি গাছের মধ্যে ঝুলতে দেখা যায় সুপ্রিয়াকে। গাছের নিচে মাটিতে পড়েছিল গোপাল। এলাকার মানুষ দেখতে পেয়ে পরিবারকে খবর দেয়। গ্রামবাসীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়।