Dev, TMC, Nomination, “দেশের মধ্যে ঘাটাল লোকসভা বিশ্ব উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এগিয়ে থাকবে,” মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর বললেন দেব

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২
মে: ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তারকা তৃণমূল প্রার্থী দেব তথা দীপক অধিকারী বৃহস্পতিবার বেলা বারোটা নাগাদ মনোনয়ন জমা দিতে হাজির হন মেদিনীপুর জেলা শাসকের দপ্তরে। সকালে ঘাটালে একটি রক্তদান শিবিরে রক্ত দান করে মেদিনীপুরে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য তিনি যান। মেদিনীপুর শহরে ফেডারেশন হলে প্রাক্তন তৃণমূলের প্রয়াত বিধায়ক মৃগেন মাইতির মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে রোড শো করে তিনি জেলা শাসকের দপ্তরে যান। এরপর শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে মনোনয়ন পর্ব সম্পন্ন করেন। মনোনয়ন শেষ করে তিনি জানান, “যত লক্ষ ভোট পাব তত লক্ষ গাছ লাগাবো। দেশের মধ্যে ঘাটাল লোকসভা বিশ্ব উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এগিয়ে থাকবে। নির্বাচনের সময় ঘোষণা করে রাখলাম।”

মনোনয়ন সম্পন্ন করে সংবাদ মাধ্যমের সামনে তাঁর মনোনয়নের আগে রক্তদান করা ও গাছ লাগানোর প্রতিশ্রুতি বিষয়ে তিনি বলেন, “জনপ্রতিনিধিদের মনোনয়ন এরকমই হওয়া উচিত। দু’দিন আগেই জানতে পেরেছিলাম ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের সংকট রয়েছে। আমার টিম বলেছিল মন্দিরে যাওয়ার জন্য মনোনয়ন দিতে আসার আগে, কিন্তু আমি সেখানে না গিয়ে রক্তদান শিবিরে রক্ত দিতে গিয়েছিলাম। আমি জানতাম সমস্ত সংবাদ মাধ্যম থাকবে তো তাদের মধ্যে দিয়ে এই বার্তাটা আমি দিতে পারবো। থ্যালাসিমিয়া যে সমস্ত রোগীরা রয়েছে তাদের বাঁচানোর দায়িত্বটা আমার মনে হয় আমরাও নিতে পারি।

তিনি বলেন, সেই সঙ্গে আরো একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি, এই যে গত ৭০ বছরের রেকর্ড ভেঙে গরম পড়েছে, তার পেছনে উষ্ণায়ন একটা কারণ। তাই গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যতগুলো ভোট পড়বে ততগুলো গাছ লাগাবো। সেটা যদি নয় লক্ষ ভোট পড়ে তো নয় লক্ষ গাছ লাগাবো। জনপ্রতিনিধিদের কাজ শুধু উন্নয়ন, ভোট নিয়ে চলে যাওয়া নয়। এই গাছ লাগানোর মত বিষয়গুলিতেও গুরুত্ব দেওয়া দরকার। গ্লোবাল ওয়ার্মিং- এর বিরুদ্ধে যে লড়াই সেই লড়াইয়ে ঘাটার লোকসভা কেন্দ্র দেশের মধ্যে এগিয়ে থাকবে সেটা এই নির্বাচনের সময় বলে গেলাম।”

এদিন হিরণ প্রসঙ্গে দেব বলেন, “উনি অনেক অনেক জ্ঞানী গুণী মানুষ। ওনার আর কোনো বার্তা লাগে না। ও সব জানতা প্রার্থী, ওকে শুভেচ্ছা। ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করব ওকে একটু সৎ বুদ্ধি দিক। শান্তি দিক। কেননা ও অনেক অশান্তির মধ্যে আছে, ওর কথাবার্তার মধ্যে তা বোঝা যায়। ওর ভালোবাসার খুব প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *