CPIM, Nomination, মেদিনীপুরে সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনে ধাক্কা খেলো শাসক দল, আদালতের নির্দেশে মনোনয়ন পত্র তুললেন চার বাম প্রার্থী

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৮ ফেব্রুয়ারি: সমবায় ব্যাঙ্কের ভোটেও ধাক্কা খেলো শাসক দল।কোর্টের নির্দেশে বৃহস্পতিবার মনোনয়ন তুলতে এলো বামেরা। তবে ৫১টি আসনের মধ্যে মোট চারটি আসনের জন্য এদিন মনোনয়ন তোলেন তারা। আগামী ২৩ মার্চ রয়েছে এই পিপিলস কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের পরিচালন কমিটির নির্বাচন। এদিন ভোট নিয়ে নিজেদের জয় দেখছে বামেরা।

আর দশটা সমবায় ব্যাঙ্কের মতো মেদিনীপুর শহরের কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত পিপিলস কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের পরিচালন কমিটির নির্বাচন রয়েছে আগামী ২৩ মার্চ। আর এই পরিচালন কমিটির নির্বাচনে আসন সংখ্যা ৫১টি। যদিও দীর্ঘ ১০ বছর এই নির্বাচন হয়নি। এবার এই নির্বাচনের আগে ছিল মনোনয়ন তোলার কাজ। তবে গত ২৫ তারিখ মনোনয়ন তুলতে এসে রীতিমত মার খেয়ে ঘরে যান বামেরা। কড়া পুলিশি প্রহরার মধ্যেও তৃণমূল ও বামেদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মেদিনীপুর। বামেদের অভিযোগ, যখন তারা একসঙ্গে মনোনয়নপত্র তুলতে আসছিলেন সেই সময় পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতী বাহিনী তাদের মারতে মারতে বের করে দেয় মনোনয়ন তোলার চত্বর থেকে।

এই ঘটনায় কয়েকজন আহত হন। পরে এই ঘটনায় চার প্রার্থী রীতিমতো দ্বারস্থ হন হাইকোর্টে। হাইকোর্ট রায় দেয় যাতে এই চারজন যাতে পুলিশি প্রহরায় মনোনয়ন তুলতে পারেন এবং জমা দিতে পারেন। সেই রায়ের পরই এদিনই বেলা এগারোটা নাগাদ চার বাম প্রার্থী সুকুমার আচার্য, অজয় মিত্র, সোমনাথ দে এবং উত্তম চক্রবর্তী মনোনয়ন তুলতে আসেন এবং তা জমাও দেন।এরপর তারা সংবাদ মাধ্যমের কাছে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন।

উল্লেখ্য, এর আগের দিন মনোনয়ন তুলতে এসে রীতিমতো মার খেয়ে ঘরে ফিরতে হয়েছে বামেদের।শেষে পুলিশকেই ধিক্কার জানিয়েছে বাম নেতা সহ কর্মী সমর্থকরা।

এ বিষয়ে বাম প্রার্থী সুকুমার আচার্য বলেন,”আমরা গতবার মনোনয়ন তুলতে এসেছিলাম, কিন্তু তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। যার ছবি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সহ সোশ্যাল মাধ্যমে দেখা যায়। একটা ব্যাঙ্কের নির্বাচনেও আমাদের অধিকার নেই মনোনয়ন তোলার। মার খাওয়ার পর আমরা কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। কোর্ট সবকিছু দেখে আমাদের হয়েই রায় দিয়েছে মনোনয়ন তোলার জন্য। মোট ৫১টি আসনের মধ্যে আমরা চারজন যেহেতু কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম তাই আজ আমরা চারজনই মনোনয়ন তুলেছি এবং জমাও দিয়ে দেবো।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই পিপলস কো অপারেটিভ ব্যাঙ্ক ২০১১- এর আগে পর্যন্ত বামেদের দখলে ছিল। তবে পালা বদলের পর ধীরে ধীরে তা শাসক দল তৃণমূলের দখলে চলে যায়। যদিও মাঝে ১০ বছর কোনরকম পরিচালন কমিটি ভোট হয়নি এই সমবায় ব্যাঙ্কের। দীর্ঘ বছর পর এবার ২০২৫ সালে সেই পরিচালন কমিটির ভোট শুরু হয়েছে। যদিও এই ব্যাঙ্কের মনোনয়ন জমা ও তোলা চলবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। নির্চাচন হবে ২৩ মার্চ।যদিও সূত্র অনুযায়ী জানা যায়, বামেরা বাকি ৪৭টি আসনের জন্যও কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *