আমাদের ভারত, নদিয়া, ২৯ সেপ্টেম্বর: নদিয়ার শান্তিপুরের কন্দখোলায় পেট্রোল পাম্প কর্মীকে গাড়ি দিয়ে পিষে দেওয়ার ঘটনায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলো ফরেন্সিক দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিক- সহ দুই প্রতিনিধি দল।
চলতি মাসের ৮ তারিখ মধ্যরাতে নদিয়ার শান্তিপুরের কোন্দখোলা পেট্রলপাম্পে তেল ভরে টাকা না দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পাম্প কর্মীকে পিষে দেয় একটি বোলেরো ম্যাক্স গাড়ি। ঘটনায় রানাঘাট পুলিশ জেলার তরফে বিশেষ পদক্ষেপ নিয়ে তদন্ত শুরু করে শান্তিপুর থানার পুলিশ। ঘটনার পর দিনই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছোন রানাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কুমার সানি রাজ সহ রানাঘাট পুলিশ জেলার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।এরপর ঘটনা ঘটার ৩ দিনের মধ্যে গাড়ি সহ ৪ জনকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা থেকে গ্রেফতার করে শান্তিপুর থানার পুলিশ। এরপর টি আই প্যারাডের মাধ্যমে অভিযুক্তদের চিহ্নিন্ত করে পুলিশ আদালতে পাঠায়। যদিও পরবর্তীতে দোষীদের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
এরপর পুলিশ হেফাজত শেষ হলে তাঁদের গতকাল আবারও আদালতে পাঠায় শান্তিপুর থানার পুলিশ। গতকাল আবারও রানাঘাট বিচার বিভাগীয় আদালত অভিযুক্ত ৪ জনকে ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এরপর আজ অভিযুক্তদের নিয়ে ঘটনাস্থলে আসে ২ জন স্টেট ফরেন্সিক এক্সপার্ট সহ শান্তিপুর থানার পুলিশ বাহিনী। আজ সন্ধ্যেয় কোন্দখোলা পেট্রোল পাম্পের সমস্ত জায়গা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক আধিকারিকরা। তবে আজ গাড়িটি নিয়ে এসে দোষীদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনার পুর্ননির্মাণও করে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা।
যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনায় ধৃত অভিযুক্তদের নাম আল আমিন ওস্তাগার, আলম গাজী, সুমন মোল্লা ও আরফিন গাজী। এরা প্রত্যেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার হাসনাবাদের বাসিন্দা। পুলিশ আরও জানায়, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানাগেছে, এরা দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন থানা এলাকায় দুর্নীতি এবং অপরাধমূলক কাজ করে বেড়াতো। যদিও পুলিশের ধারণা এদের পেছনে আরো বড়সড় চক্র রয়েছে। এরপর আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করে কি তথ্য উঠে আসে তা নিয়েই এখন তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।