আমাদের ভারত,৩০ ডিসেম্বর:ভারতবর্ষের প্রথম চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ হলেন জেনারেল বিপিন রাওয়াত। ৩১ ডিসেম্বর অবসর নিতে চলেছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান রাওয়াত। তারপরেই রাওয়াত চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফের দায়িত্ব নেবেন।
দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগেই ঘোষণা করেছিলেন। এবার সেই মতো দেশের সুরক্ষা বৃদ্ধি এবং সন্ত্রাস দমনে তিন সেনাবাহিনীকে নিয়ে প্রথম চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ পদের দায়িত্ব পেলেন বিপিন রাওয়াত। চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ সরকারের প্রতিরক্ষা অসামরিক বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা। এই পদের আধিকারিক সরকার ও সেনার মধ্যে সিঙ্গল পয়েন্ট অফ কন্টাক্ট হিসেবে কাজ করবেন।
ফোর স্টার জেনারেল পদমর্যাদার হলেও তিন বাহিনীর প্রধানের উপরে থাকবেন তিনি। ভারতীয় সেনার তিন বাহিনী স্থল, বায়ু,নৌ সেনার মধ্যে সমন্বয় বজায় রেখে অস্ত্র কেনা থেকে শুরু করে প্রশিক্ষণ ও কৌশলগত মোতায়েনের উপর নজর রাখবেন চিফ-অফ-স্টাফ। বিশেষ করে আণবিক শক্তিধর দেশ হওয়ায় এবং পারমাণবিক অস্ত্র তথা হামলা সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হবেন এই চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ।
মোদীর চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ পদ তৈরীর কথা ঘোষণা করলেও এই প্রস্তাব কিন্তু প্রায় দু’দশক পুরনো। কারগিল যুদ্ধের পর সেনাবাহিনী গঠনের পরিবর্তন আনতে কে সুব্রহ্মণ্যম কমিটি গঠন করেছিল সরকার। সেই কমিটি এই চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ পদের তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু তখনই প্রস্তাব হিমঘরে চলে যায়। এরপর এই পথ তৈরি প্রস্তাব জানিয়ে ২০১৬সালে একটি রিপোর্ট পেশ করে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডি বি শেখাটকর কমিটি। কিন্তু সেই প্রস্তাবও কার্যকর হয়নি।
আমেরিকা ব্রিটেন সহ বিশ্বের যেকোনো বড় দেশে চিফ-অফ ডিফেন্স-স্টাফ পদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পদটি থাকায় ওইসব দেশের তিন বাহিনীর সমস্ত অভিযান কৌশলগত ফৌজি মোতায়েনের বিষয়ে অযথা সময় নষ্ট হয় না। কান্দাহার বিমান অপহরণ মামলায় সেনা ও সরকারের আমলাতন্ত্রের জটের পরে কার্যত হাত গুটিয়ে বসে ছিল কমান্ডোরা। কিন্তু চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ পদ তৈরি হলে এই ধরনের জটিল সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। ফলে বাঁচবে সময়। সরাসরি তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করে যৌথভাবে অভিযানের পথ আরো সহজ হবে।