সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২০ সেপ্টেম্বর: বিয়ের চারমাসের মধ্যেই নববিবাহিত বধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অপরাধে স্বামী সহ শ্বশুর, শাশুড়ি, জা ও ভাসুরের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন বাঁকুড়া আদালতের বিচারপতি মনোজ্যোতি ভট্টাচার্য। স্বামী ধনঞ্জয় দাসের দশ বছর ও বাকি চার অভিযুক্তদের সাত বছরের কারাদণ্ডর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানাগেছে, ২০১৮ সালে ওন্দা থানার বেলাডুকরি গ্রামের মদন দাসের পুত্র ধনঞ্জয়ের বিবাহ হয় বাঁকুড়া শহরের গোপীনাথপুরের বাসিন্দা যূথিকা দাসের সঙ্গে।অভিযোগ, বিয়ের চার মাসের মধ্যেই নববধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় ওই বধূর স্বামী ধনঞ্জয়, শ্বশুর মদন, শাশুড়ি আঙ্গুরবালা, ভাসুর সঞ্জয়, ও জা শ্রাবন্তি এই পাঁচজন যুক্ত, এই মর্মে বধূর দাদা বিপ্লব স্হানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে বাঁকুড়া আদালতে মামলা শুরু হয়। দুই পক্ষের শুনানির পর বাঁকুড়া জেলা আদালতের বিচারপতি মনোজ্যোতি ভট্টাচার্য অভিযুক্ত স্বামী ধনঞ্জয়কে দশ বছরের জেল ও দশ হাজার টাকা জরিমানা ও বাকি অভিযুক্তদের সাত বছরের কারাদন্ড ও দু’ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এই মামলার অন্যতম বাদী বিপ্লব দাস বলেন, আদালতের রায়ে তারা খুশি। তবে আরোও বেশীদিন জেল হলে ভালো হতো। আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আর কোনও মেয়েকে এভাবে স্বামীও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের হাতে যেন প্রাণ হারাতে না হয়।