University, Vc অভিজ্ঞ উপাচার্যদের ফের বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হল

অশোক সেনগুপ্ত
আমাদের ভারত, কলকাতা, ১৮ এপ্রিল: দক্ষ ও অভিজ্ঞ তিন প্রাক্তন উপাচার্যকে ফের তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হল। এই সিদ্ধান্তে খুশি রাজ্যের শিক্ষাবিদ মহল। প্রতিষ্ঠানের কোনও মাথা না থাকায় কিছু জায়গায় প্রায় আঁতুরঘরেই সঙ্কট দেখা দিয়েছিল।

উল্লেখযোগ্য যাঁদের দায়িত্বদানে এই সব প্রতিষ্ঠানের অবস্থার উন্নতি হবে, সেগুলো হল ঝাড়গ্রামের সাধু রামচাঁদ মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের অধ্যাপক ডঃ অমিয়কুমার পান্ডা, রানি রাসমণি বিশ্ববিদ্যালয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়নের অধ্যাপক ডঃ আশুতোষ ঘোষ এবং উত্তর ২৪ পরগনার হরিচাঁদ গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়ে তপনকুমার বিশ্বাস (কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা লোকসাহিত্যের অধ্যাপক)।

বুধবার রাজ্যপাল-আচার্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ছ’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্যকে দায়িত্ব দিয়েছেন। যাদবপুর সহ ছ’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শূন্যপদে অস্থায়ী উপাচার্যের তালিকা তৈরি করে আগেই রাজভবনে পাঠিয়েছিল রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর। তাতে সিলমোহর দেয় রাজভবন।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সেখানকারই ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের অধ্যাপক ভাস্কর গুপ্তের নাম প্রস্তাব করেছিল রাজ্য। তিনি এক সময় জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজাম বোর্ডের দায়িত্ব পালন করেছেন। মালদহের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক পবিত্র চট্টোপাধ্যায়ের নাম।দার্জিলিং হিলস বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রেম পোদ্দারের নাম ফের সুপারিশ করা হয়েছিল। এর আগেও ইউরোপে অধ্যাপনারত, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ভিজিটিং প্রফেসর দার্জিলিং হিলস বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে ছিলেন।

রাজভবনের তরফে হোয়াটসঅ্যাপ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকার ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৩১টি নাম পাঠিয়েছিল। তা থেকে এই ছ’টি নাম বেছে নিয়েছেন রাজ্যপাল। যদিও, বাছাই করা প্রার্থীদের নাম রাজভবনের তরফে জানানো হয়নি।

যে ছ’জনকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, তাঁরা বেশিরভাগই আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অস্থায়ী উপাচার্যের দায়িত্ব সামলেছেন। বৃহস্পতিবার অধ্যাপক অমিয় পাণ্ডা প্রশ্নের উত্তরে এই প্রতিবেদককে বলেন, “এখনও সরকারি নির্দেশিকা হাতে পাইনি। প্রতিষ্ঠানে প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ নানা পদ শূন্য হয়ে আছে। স্থায়ী শিক্ষকও নেই। বিশ্ববিদ্যালয় ভবনের কিছু নির্মাণকাজ চলছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিকল্পনামফিক সমন্বয় আনলে ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপকার হবে।”

উপাচার্যর পদ খালি থাকায় বাকি তিন বিশ্ববিদ্যালয়েও নানা সমস্যা দেখা দিয়েছিল।
সদ্যঘোষিত উপাচার্যরা দায়িত্ব নিলে সঙ্কট কাটবে বলে শিক্ষাবিদ মহলের আশা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *