আমাদের ভারত, ২৯ সেপ্টেম্বর: রবিবার সন্ধ্যায় আবার মিছিল দেখলো শহর কলকাতা। তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে মশাল, মোমবাতি হাতে মিছিলে সামিল হলেন জুনিয়র চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী থেকে আম জনতা। আজ স্লোগানে স্লোগানেই মুখরিত হলো রাজপথ। কলকাতায় সাতটি মিছিল করেছেন তারা। পাশাপাশি জেলার মেডিকেল কলেজগুলিতেও জুনিয়র ডাক্তাররাও পথে নেমেছিলেন।
রবিবার বিচারের দাবিতে আবার পথে নেমেছিলেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আর জি কর কান্ডের শুনানি রয়েছে, সেদিকেই তাকিয়ে তারা। এবং রাজ্যের সব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিরাপত্তার দাবিতে তাদের এই প্রতিবাদ চলবে। তাদের আরো দাবি, প্রতিবাদ আগের মতোই চলবে। পুজোর আগের রবিবারও তাদের পাশে রয়েছে সাধারণ মানুষ। আজ মিছিল থেকে আন্দোলনকারীরা স্লোগান দেন, নির্যাতিতার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই।
জুনিয়র ডাক্তাররা আগেই জানিয়েছিলেন, তাদের অবস্থান উঠলেও লাগাতার প্রতিবাদ তারা চালিয়ে যাবেন। সেইমতো নতুন কিছু কর্মসূচিও নেন তারা। গণ কনভেনশন করে মানুষের মতামত নিয়েই এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। রবিবার সন্ধ্যায় মশাল হাতে রাস্তায় নেমেছিলেন চিকিৎসকরা। মুখে ছিল স্লোগান, শোক নয়, বিদ্রোহ চাই।
মিছিলে থাকা এক জুনিয়র ডাক্তার বলেন, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি। তার আগে রবিবার আমাদের এই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। আমাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষ রাস্তায় রয়েছে, নিরাপত্তার দাবিতে আমাদের এই প্রতিবাদ চলবে। আমাদের দিদির উপর যে নির্যাতন হয়েছে তার দ্রুত বিচার চাই আমরা।
১৯ সেপ্টেম্বর নবান্নের মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর জুনিয়র ডাক্তাররা ঘোষণা করেছিলেন, অবস্থান উঠছে তবে আন্দোলন তারা চালিয়ে যাবেন। প্রথম দফার আন্দোলনে মূলত রাজ্য সরকারের দিকেই ছিল অভিমুখ। তবে এবার সিবিআই- এর বিরুদ্ধে সরব হতে চলেছেন আন্দোলনকারীরা। যার সূচনা হয়েছিল আগেই। স্বাস্থ্য ভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত মিছিল করেছিলেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। সেই মিছিলেও বহু সাধারণ মানুষ যোগ দিয়েছেন। রবিবারের পর বুধবার ২ অক্টোবর মহালয়ার দিন আন্দোলনকারীরা মহা মিছিলের ডাক দিয়েছেন। ধর্মতলায় হবে মহাসমাবেশ দুপুর ১টা থেকে।
এদিকে সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজে নতুন করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে। সেখানে জুনিয়ার ডাক্তার, স্বাস্থ্য কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে।