Pollution, Environment, ক্রমবর্ধমান দূষণে শঙ্কা পরিবেশবিদদের

আমাদের ভারত, ১৯ জানুয়ারি: শহর কিংবা গ্রাম, প্রায় সব জায়গাতেই ভাসমান ধূলিকণার পরিমাণ নির্ধারিত সীমার চেয়ে অনেক অনেক বেশি হয়ে গিয়েছে। পরিবেশবিদদের একাংশের আশঙ্কা, অবিলম্বে শাসক দলের রাজনৈতিক নেতাদের বায়ু দূষণের বর্তমান মাত্রা নিয়ে চিন্তা না করলে দূষণের কারণে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের গড় আয়ু কমতে থাকবে। সেই সঙ্গে শারীরিক প্রতিবন্ধকতাও হতে পারে।

পশ্চিমবঙ্গের বেশির ভাগ স্থানে এখনই অতি সূক্ষ্ম শ্বাসবাহিত ধুলোকণার পরিমাণ প্রতি ঘন মিটারে আড়াইশো মাইক্রো গ্রাম ছাড়িয়ে গেছে। পরিবেশ প্রযুক্তিবিদ সোমেন্দ্র মোহন ঘোষ এই প্রতিবেদককে এ কথা জানিয়ে শুক্রবার বলেন, “রাজ্য সরকারের নজর নেই কী ভাবে বায়ুদূষণে লাগাম দেওয়া যায়। শুধু দিল্লির তুলনায় কম বলে আনন্দিত হওয়া যায়।”

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, মানুষের সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে হলে ‘পি এম ২.৫’ এর মাত্রা প্রতি ঘন মিটারে দশ মাইক্রোগ্রামের নিচে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে পঁচিশ গুণের বেশি হলেও রাজ্য পরিবেশ দফতর বা রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কোনও পদক্ষেপ নেই বললেই চলে।

সোমেন্থ্রবাবু বলেন, হলদিয়ার কুকড়াহাটি জেটির পাশে উন্মুক্ত আকাশের নিচে গঙ্গার ধারে সবার চোখের সামনে মানুষের মৃতদেহ দাহ করে প্রতিদিন গঙ্গা ও হলদিয়ার বাতাস দূষিত করা হয়। সরকার কেন এত উদাসীন জানি না। কয়লার বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিও গ্রামের পরিবেশ নষ্ট করছে। যেহেতু আমরা বৈদ্যুতিক সংযোগ পাই সেই কারণে সব ক্ষমা।

পরিবেশবিদদের অভিযোগ, স্পঞ্জ আয়রন কারখানা, ইটভাঁটা, পাথর ভাঙ্গার, কারখানা, কেরোসিন ও ডিজেল চালিত ভ্যান, গ্রামের পুরনো বাস ও লরি, কাঠ বা কয়লার চুল্লি, ডিজেল চালিত কৃষি পাম্প, বিভিন্ন জায়গায় গড়ে ওঠা অসংগঠিত ছোট ছোট উৎপাদনক্ষেত্র প্রতিদিন বায়ু দূষণ বাড়িয়ে চলেছে। পরিবেশ দফতর নির্বিকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *