সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২৯ জুন: শনিবার বৃষ্টিভেজা গভীর রাতে দুটি বুনো হাতির তান্ডবে আতঙ্কে কাটালো গঙ্গাজলঘাঁটির দুটি গ্রামের মানুষ।
বেশ কিছুদিন হাতির উপদ্রব বন্ধ থাকায় উত্তর বাঁকুড়া বন বিভাগের জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দাদের মনে স্বস্তি ফিরলেও ফের বড়জোড়া, গঙ্গাজলঘাঁটি রেঞ্জ এলাকায় আবাসিক হাতি লোকালয়ে হানা দিতে শুরু করায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে হাতি উপদ্রুত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। শনিবার গঙ্গাজলঘাঁটি রেঞ্জের কলগোড়া, শ্রীচন্দ্রপুর গ্রামে দুটি হাতি ঢুকে পড়ে। সারারাত ছিল দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া। বাসিন্দারা গভীর ঘুমে বাড়ির ভিতরে। দাঁতাল দুটি রাধুরবাইদ জঙ্গল থেকে বেরিয়ে বড়জোড়া, দুর্লভপুর শিল্প করিডোরের উপর দিয়ে হেঁটে যাবার পথে কলগোড়া বাস স্ট্যান্ডে আস্তিক মুখার্জির পান গুমটি উল্টে দেয়। তারপর ঢোকে শ্রীচন্দ্রপুর বাউরি পাড়ায়। গদরি বাউরির মাটির দেওয়াল দেওয়া টালির ছাউনির এক দিক শুঁড় দিয়ে টেনে মাটিতে নামিয়ে দেয়।
গদরি বাউরির ছেলে উজ্জ্বল বাউরি বলেন, সারারাত বৃষ্টি হয়েছে। সকলে একটি ঘরে ঘুমিয়েছিলাম বলে রক্ষে পেয়েছি। বাড়ির যে অংশ ভেঙ্গেছে রোজ সেখানে মা বাচ্চাদের নিয়ে শুয়ে থাকেন বলে জানান উজ্জ্বল। গতকাল আবহাওয়া খারাপ থাকায় সকলে ভিতর ঘরে শুয়েছিলাম। আমরা গরিব মানুষ। এখন কিভাবে বাড়ি করবো জানি না।
বন দফতরের এক কর্তা জানান, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, বাঁকুড়া উত্তর বন বিভাগের বড়জোড়ার মালিয়াড়া জঙ্গলে ২টি ও গঙ্গাজলঘাঁটির দেউলি জঙ্গলে ১টি হাতি রয়েছে।