Madan Mitrs, Kasba case, “বন্ধ কলেজে কেন একা গেলেন? চারটে বন্ধুকে নিয়ে গেলে এই ঘটনা ঘটতো না,” কসবা কান্ডে মদনের মন্তব্যে শুরু বিতর্ক

আমাদের ভারত, ২৯ জুন: কসবা কান্ড নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। এই কান্ডে তৃণমূলের নাম জড়ানো নিয়ে তিনি আপত্তি তোলেন। ঘটনা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন তিনি। তবে প্রকৃত দোষীর শাস্তি দাবি করে তিনি বলেন, ভারতীয় সংবিধান বলে দোষী ছাড়া পাক আপত্তি নেই, কিন্তু একজন নিরপরাধ যেন শাস্তি না পায়, একথাও মনে করিয়ে দেন মদন মিত্র।

এদিন নিজের বিধানসভা এলাকায় দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ বিলিতে অংশ নেন মদন মিত্র। কামারহাটি বিধানসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে এদিন দুর্যোগের কারণে যে সমস্ত নাগরিকরা রেশনের মাধ্যমে দেওয়া দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ নিতে পারেননি, তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয় এই প্রসাদের বাক্স। তাদের বাড়িতে তৃণমূল জনপ্রতিনিধি ও কর্মীরা পৌঁছে দেন প্রভু জগন্নাথের প্রসাদ বলেই জানিয়েছেন বিধায়ক। তবে এদিন জগন্নাথের প্রসাদকে কেন্দ্র করে বিরোধীদের আক্রমণ শানান মদন মিত্র। তিনি বলেন, এতই যদি জগন্নাথ প্রেম থাকতো তাহলে এতদিন করেননি কেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করার পরই ব্যাপক সাড়া দেখে বিরোধীরা ভয় পাচ্ছেন বলে জানান বিধায়ক।

পাশাপাশি এদিন কসবা কান্ড নিয়ে মদন মিত্র বলেন, যারা অভিযুক্ত তারা দোষী প্রমাণিত হলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুন, যাতে পরবর্তীতে এই ধরনের কাজ করতে কেউ যেন সাহস না পায়। পাশাপাশি এদিন রাজ্যের বিরোধী দলগুলিকেও একযোগে আক্রমণ শানান কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। পাশাপাশি কসবা কান্ড নিয়ে তিনি বলেন, ভারতের সংবিধান বলে দোষী ছাড়া পেয়ে যাক আপত্তি নেই, কিন্তু একজন নির্দোষ যেন শাস্তি না পায়। সঠিক তদন্ত করে যেন শাস্তি দেওয়া হয়। যাকে ধরেছে সে যদি প্রকৃত দোষী হয়, তাহলে তার এমন শাস্তি হোক ভবিষ্যতে এমন কাজ করার কেউ যেন সাহস না পায়।

অন্যদিকে নির্যাতিতার একা যাওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মদন মিত্র? তিনি বলেন, কলেজ বন্ধ, তাহলে একা কেন গেল ওই ল’ ছাত্রী? গেলেন যখন, তাহলে আর চারটে বন্ধু নিয়ে কেন গেলেন না? মা- বাবাকে নিয়ে গেলেন না কেন? আমাদের দলের কোন কর্মীকে জানিয়ে গেলেন না কেন? একদম একা কলেজটা পুরো ফাঁকা, আপনি চলে গেলেন। আর দুর্বৃত্তরা এই পরিস্থিতির সুযোগ নিল। একই সঙ্গে বিধায়ক এই বিষয়ে তৃণমূলের নাম জড়ানো নিয়েও আপত্তি তোলেন। আর তাঁর করা এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *