আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ২৯ জুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে শিক্ষার বদলে অসামাজিক কার্যকলাপের চাষ হচ্ছে। আর সেই কারণেই কসবা ল’ কলেজের এই ঘটনা ঘটেছে, বেলঘড়িয়ার দেশপ্রিয় নগর এলাকায় সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় সমাবেশে বললেন মহম্মদ সেলিম।
স্মার্ট মিটার স্থগিত নয় বাতিল করতে হবে, যোগ্য ও অযোগ্য লিস্ট তৈরি করে অবিলম্বে মানুষের সামনে এনে যোগ্যদের চাকরিতে ফেরাতে হবে ও পৌর এলাকার রাস্তার বেহাল অবস্থার জন্য মানুষের যে সমস্যা হচ্ছে পৌরসভাকে অবিলম্বে সেই সমস্যা মেটাতে হবে, এই তিন দাবিতে আজ বেলঘড়িয়ার দেশপ্রিয় নগর এলাকায় সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় সমাবেশ ছিল। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সহ বামেদের জেলা নেতৃত্ব। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিক ইস্যু নিয়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। মূলত কসবা কান্ড নিয়ে বলা মদন মিত্রের কথার তীব্র সমালোচনা করে তাঁকে কটাক্ষ করেন।
এদিন মহম্মদ সেলিম কসবা ল’ কলেজে ঘটা ধর্ষণের ঘটনার জন্য রাজ্যের কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়াকে দায়ী করে বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে শিক্ষার বদলে অসামাজিক কার্যকলাপের চাষ হচ্ছে। তাই কসবা ল’ কলেজে এই ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়া দীর্ঘদিন রাজ্যের কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয় না। যার ফলে কলেজগুলিতে গণতন্ত্র ধ্বংস করে নিজেদের তাবেদার পোষা হচ্ছে। তার ফলে গুন্ডারাজ, ধর্ষকরাজ, মস্তানরাজ তৈরি হয়েছে কলেজগুলিতে। ২০১১ থেকে কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হচ্ছে না, যার ফলে সাংস্কৃতিক চর্চা, রাজনৈতিক চর্চার ক্ষেত্র বন্ধ হয়ে গেছে।”
তিনি আরো চাঞ্চল্যকর দাবি করে বলেন, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে তুলে দিতে চাইছে রাজ্য সরকার, তাই উচ্চ মাধ্যমিকের ফল বেরিয়ে গেলেও এখনো সরকারি কলেজগুলিতে ভর্তি হতে পারছে না ছাত্র- ছাত্রীরা। তার বদলে বেসরকারি কলেজগুলিতে ভর্তির জন্য ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের স্কুল কলেজের পঠন পাঠন ধ্বংস করে দিচ্ছেন।