আমাদের ভারত, ৪ জুন: দিল্লির একটি গুরুদ্বার দখল করতে গিয়ে ধাক্কা খেল ওয়াকফ বোর্ড। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল ওই সম্পত্তি ওয়াকফ বোর্ড দাবি করলেও সেখানে যেহেতু গুরুদ্বার রয়েছে সেটাই থাকবে। ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তীব্র বাধানুবাদের মধ্যেও এই ঘটনায় নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
১৯৪৭ থেকে পূর্ব দিল্লির শাহাদারা এলাকায় গুরুদ্বারটি রয়েছে। কিন্তু ওয়াকফ দাবি করে সম্পত্তিটি তাদের। ২০১০ সালে এটা নিয়ে মামলাও হয়। দিল্লি ওয়াকফ দাবি করে এটি আসলে গুরুদ্বার নয়, বরং এটি মসজিদ। যার নাম মসজিদ তাকিয়া বব্বর শের। ওয়াকফ বোর্ডের দাবি, স্মরণাতীত কাল থেকেই ওই মসজিদ ছিল।
কিন্তু গুরুদ্বার কর্তৃপক্ষের দাবি, ১৯৫৩ সালে মহম্মদ আহসান নামের এক ব্যক্তি ওই জমি গুরুদ্বার কর্তৃপক্ষের কাছে বিক্রি করেছেন। তবে গুরুদ্বার কর্তৃপক্ষ সেই প্রমাণ দাখিল করতে পারেনি।
২০১০ সালে দিল্লি হাইকোর্ট ওই জমির মালিকানা গুরুদ্বার কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয়। পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে যায় দিল্লি ওয়াকফ বোর্ড। সুপ্রিম কোর্টও গুরুদ্বার কর্তৃপক্ষের পক্ষেই রায় দেয়। শীর্ষ আদালত বলেছে, গুরুদ্বার কর্তৃপক্ষ যেমন মালিকানা প্রমাণ করতে পারেনি ওয়াকফ বোর্ডও জমির মালিকানা প্রমাণ করতে পারেনি, তাই গুরুদ্বার কর্তৃপক্ষকে ওই মালিকানা দেওয়া হোক।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সংশোধনী বিল আনতেই পুরনো সেই বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। কেন্দ্রের নতুন আইনে জমি সংক্রান্ত ওয়াকফ বোর্ডের একচ্ছত্র অধিকারে কোপ পড়েছে। কেন্দ্র বলছে, কোনো জমির মালিকানা দাবি করলে আগের মতো সেই জমি দখল করতে পারবে না ওয়াকফ বোর্ড। জমির বর্তমান মালিক সেটার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে পারে। সেই বিতর্ক চলছে সুপ্রিম কোর্টের অন্য আরও একটি বেঞ্চে।