আমাদের ভারত, ৩ সেপ্টেম্বর: আরজিকরের ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও কর্মসূচি ঘিরে ধুন্দুমার পরিস্থিতি দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে। রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে এই কর্মসূচি হয়।
এদিন পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় বিজেপি কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশের ব্যারিকেট ভেঙ্গে জেলাশাসকের অফিসের দিকে এগোতে গেলে সুকান্ত ও দলের কর্মী সমর্থকদের বাধা দেয় পুলিশ। তারপরই গন্ডগোলের শুরু হয়। এক রকম পুলিশের সঙ্গে খন্ড যুদ্ধ বাধে বিজেপি নেতা কর্মীদের। দুটি ব্যারিকেট ভেঙ্গে এগিয়ে যান সুকান্তরা। ক্রমশ উত্তেজনা বাড়তে থাকে। সুকান্ত বলেন, আরজিকরের ঘটনার বিচার দিতেই হবে। স্লোগান তুলতে থাকেন বিজিপি নেতা ও কর্মীরা।
সোমবার থেকে রাজ্যব্যাপী প্রশাসনিক ভবনে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে তার লোকসভা এলাকা, বালুরঘাটেও এই কর্মসূচি হয়। বালুরঘাটের জেলা বিজেপি পার্টি অফিস থেকে মিছিল শুরু হয় দুপুরে। সুকান্তর নেতৃত্বে মিছিল এগিয়ে যায় জেলাশাসকের দপ্তরের দিকে। এরপর একের পর এক ব্যারিকেট ভেঙ্গে বিক্ষোভকারীরা প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি, শুরু হয় প্রশাসনিক ভবনের সামনেই বিজেপির সভা। সেখানে বক্তব্য রাখেন সুকান্ত মজুমদার।
এদিকে আরজিকরের ঘটনার মতো বংশীহারির ঘটনাকেও ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে প্রশাসন। দক্ষিণ দিনাজপুরে নির্যাতিতা আদিবাসী নাবালিকার গ্রামে গিয়ে এমনটাই দাবি করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, নাবালিকা ও তার মায়ের সঙ্গে গ্রামের লোককে দেখা করতে দিচ্ছে না প্রশাসন। কিন্তু তৃণমূলের নেতারা এমনকি অভিযুক্তের পরিবার নাবালিকার সঙ্গে দেখা করছে। রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে তিনি বলেছেন, আরজিকরের নির্যাতিতাকে দশ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনতে চেয়েছিল সরকার। এখানে নাবালিকার পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা দিতে চাইছে। আমি স্পষ্ট জানিয়ে গেলাম নাবালিকার মায়ের সঙ্গে কেউ দেখা করে সম্মান কিনতে চাইলে আমরা ছেড়ে কথা বলব না।
গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে সেই ঘটনার বিস্তারিত খোঁজ নেন সুকান্ত মজুমদার। সার্বিকভাবে সাহায্যের আশ্বাস দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। গ্রামবাসীরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জানান, এর আগেও একাধিকবার অভিযুক্ত তাণ্ডব চালিয়েছে। পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও বারবার সে ছাড়া পেয়েছে। সুকান্ত মজুমদার নির্যাতিতার পরিবারকে আশ্বাস দেন আম্বেদকর ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে তাদের।