পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৬ আগস্ট: মঙ্গলবার ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভারানী মাইতি। তিনি এদিন মনশুকায় যান। ঝুমি নদীর জল কয়েকদিন আগে ভাসিয়ে দিয়ে গেছে এই জনপদ। বাড়ি, দোকানপাট, খামার ডুবেছিল ৩ ফুট জলে। এখনো চাষের জমি, ক্ষেতের ফসল ডুবে রয়েছে জলের তলায়। বেশ কিছু পানীয় জলের কল ডুবে ছিল জলের মধ্যে। প্রসাশন ও গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় ত্রাণ, ওষুধ, পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বন্যাত্র মানুষের কাছে। জল নামার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে জল বাহিতরোগ ও ডেঙ্গি। একে ঠেকাতে মঙ্গলবার সচেতনতা বাড়াতে স্বাস্থ্য কর্মীদের নিয়ে পদযাত্রা করেন মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস।
সভাধিপতি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে তিনি এদিন বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসেছেন। কথা বললেন কিছু মানুষের সঙ্গে এবং তাদের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দিলেন।
মনশুকায় ঝুমি নদীর ওপর একটি পাকা সেতু নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ মঞ্জুর করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে একটি কজওয়ে রয়েছে। এটির ফলে জল গ্রামে ঢুকছে। এটি ভেঙ্গে ফেলার দাবি করেছেন গ্রামবাসীরা। সেচ দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে সেটি পুরোপুরি ভেঙ্গে ফেলা হবে।