আমাদের ভারত, ২৬ মার্চ: “আমি নিজের ক্ষমতায় রাজনীতি করি। কর্মীদের নিয়ে রাজনীতি করি।” বুধবার কৃষ্ণনগরে ‘চায়ে পে চর্চা’য় যোগ দেন প্রাক্তন সাংসদ তথা বঙ্গ বিজেপি-র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি ফের বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তোপ দাগেন।
কয়েকদিন ধরেই তিনি খবরের শিরোনামে রয়েছেন। তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর দিলীপ ঘোষকে সমর্থন করেছিলেন। সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এদিন বিজেপি নেতা বলেন, “আমায় কে কীভাবে সমর্থন করল তাতে কিছু যায় আসে না। কর্মীদের নিয়েই থাকব, কর্মীদের সঙ্গে নিয়েই রাজনীতি করি। হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে আমার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল, এখনও রয়েছে।”
বুধবার ফের বিরোধীদের নিয়ে সরব হন দিলীপ ঘোষ। কথা বলতে গিয়ে তিনি কয়েকদিন আগে তাঁকে রাস্তা উদ্বোধনে বাধা দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন। সেদিন তিনি বিক্ষোভকারী মহিলাদের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। বুধবার নদিয়ার গাংনাপুরে তার উল্লেখ করেন।
দিলীপবাবু বলেন, ভোট এসে গিয়েছে। কেউ কেউ ফুরফুরা শরিফে ধর্না দিচ্ছে। উনি দেখাচ্ছেন জগন্নাথ মন্দির তৈরি করে দিচ্ছেন। জগন্নাথ কি বলেছে আমার মন্দির তৈরি করে দাও? গোরু মেরে জুতো দান হচ্ছে? তাই এই যারা ভেকধারী, কেউ পুতনা, কেউ হিডিম্বা এদের চিনতে হবে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ঠিকই চিনেছিলেন। ছাড়েনি পুতনাকে। উনি বুঝেছিলেন কে পুতনা, তিনি তাঁর প্রাণ নিয়ে নিয়েছিলেন।
খড়্গপুরে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভের প্রসঙ্গ টেনে দিলীপ ঘোষ বলেন, আমি সেদিন কটা পুতনাকে তাড়া করেছিলাম। বলেছিলাম গাড়ি চালিয়ে দেব বুকের উপর দিয়ে। কিছু সেকুলারের খুব কষ্ট হয়েছিল, মেয়ে বলে। ভাই, তোরা তো মেয়েদের ভোগের বস্তু বলে মনে করিস। কোনও দিন তো প্রমাণ করিসনি।
দিলীপবাবু বলেন, “আমরা মা সীতা, মা দ্রৌপদীকে মায়ের আসনে বসিয়েছি। মায়ের আসনে সীতাকে বসাব, পুতনাকে বসাব না। এই পুতনাদের বুকের উপর দিয়ে গাড়ি চালাব আমরা। কারণ ওরা ছদ্মবেশে মা সেজে এসেছে। শ্রীকৃষ্ণ মাত্র ৬ দিন বয়সেই বুঝে গিয়েছিলেন। আমাদের ৬০ বছর বয়স হয়ে গেল। এবার বুঝুন। পুতনা যদি সত্যিই মা হতেন তাহলে আমরা তার ছবি রাখতাম। আমরা তো সীতার ছবি রাখি। নিজের ছেলেকে দুধ দেয় না সে পরের ছেলেকে দুখ খাওয়াতে এসেছে।”