সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২৬ ফেব্রুয়ারি: বিষ্ণুপুরে ডিজিটাল গ্রেফতার মামলায় আরও সাফল্য পুলিশের। এই ঘটনায় পুলিশ ভিন রাজ্য থেকে আরোও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। তদন্তে নেমে ওড়িশার সুবর্ণপুর জেলায় অভিযান চালিয়ে এসআই আকাশ পাত্র, কুলু প্যাটেল এবং অভিসিক্তা মেহের নামে ২ জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।
অন্যদিকে একইভাবে বিষ্ণুপুর থানা পুলিশের এসআই কৌশিক চৌবে কেরালার কোজিকোড জেলায় অভিযান চালান। এই অভিযানে মোঃ আফিফ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই গ্রেপ্তার হওয়া তিন অভিযুক্তই তাদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছে। তাদের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে।
বিষ্ণুপুর পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে যে, জড়িত অন্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য তদন্ত চলছে। এই চক্রের সকলকে গ্রেপ্তার করা হবে।
এ প্রেক্ষিতে উল্লেখ্য, এই “ডিজিটাল গ্রেফতার” প্রতারণার অভিযোগে আগেই ৪জনকে গ্রেপ্তার করে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। এই ধৃতদের ৩জন গুজরাট ও ১জন তেলেঙ্গানার বাসিন্দা। গত ১৯.০১.২০২৫ বিষ্ণুপুর শহরের আবরারমাঠ এলাকার শ্যামপদ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করেন যে তিনি, “ডিজিটাল গ্রেফতার” হয়েছেন। গত ১৭.০১.২০২৫ তিনি একটি ফোন কল পান যে মুম্বাই কাস্টমস তার কিছু জিনিসপত্র আটক করেছে।সেই জিনিষপত্রের ভিত্তিতে তিনি অর্থ পাচারে জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তিনি ১০২১০০০ টাকা প্রতারণা করেছেন বলে জানাগেছে। তাই তাকে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’-এর মাধ্যমে অনলাইন হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এই অভিযোগ পেয়ে বিষ্ণুপুর থানা একটি তদন্তকারী দল তাৎক্ষণিক ভাবে তৈরি করে। দীর্ঘ অভিযানের পর চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গুজরাটের গান্ধীনগর থেকে গৌরাঙ্গ গজ্জর ও সাবরকন্থার থেকে সাহিল প্যাটেল, চানসমা থেকে ঠাকুর আনন্দ কুমার ও তেলেঙ্গানার হায়দ্রাবাদের ভবানীনগর থেকে সৈয়দ ইউসুফ শরিফ ওরফে ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের ৫ দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে বিষ্ণুপুরে আনা হয়।পুলিশ সূত্রে জানা যায় যে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় এরাও তাদের অপরাধ স্বীকার করে নেয়।