পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ২৪ ফেব্রুয়ারি: জেলা শাসকের নির্দেশের পরেও গঙ্গাখালি খালে চলছে অবৈধ নির্মাণকাজ।
তমলুক মহকুমার গঙ্গাখালি খাল সংস্কারের কাজে শ্লথ গতি এবং নানা ধরনের বিপত্তির বিষয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা-ভাঙ্গন প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে জেলা শাসক, সেচ দপ্তরের জেলা আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার জেলা শাসক, মহকুমা শাসক, শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিডিও, সেচ দপ্তরের এসডিও গঙ্গাখালি খাল পরিদর্শনে আসেন। পরিদর্শনের সময় তাঁরা দেখেন, গঙ্গাখালি খালের মধ্যে একটি অবৈধ নির্মাণ হচ্ছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে জেলা শাসক, সেচ দপ্তরের এসডিও’কে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এছাড়াও যারা খাল সংস্কারের কাজে বাধা দেবে তাদের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন জেলা শাসক। কিন্তু তারপরও শনি ও রবিবার ওই খাল সংলগ্ন এলাকায় চট ঘিরে, ড্রিল করে চলছে জোর কদমে কাঠামো তৈরী বা তা রক্ষা করার কাজ। যদিও সেচ দপ্তর এখনো কোনো পদক্ষেপ করেনি।
অন্যদিকে ওই খাল সংস্কারের বিষয়ে আজ তমলুক ব্লকের নীলকুন্ঠা অঞ্চলে ডাকা হয়েছে সর্বদলীয় মিটিং।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা-ভাঙ্গন প্রতিরোধ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, জেলা প্রশাসনের উপরোক্ত উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। এ বিষয়ে আজ জেলা ও মহকুমা শাসক, ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক এবং সেচ দপ্তরের এসডিও’কে এখনো কাঠামো তৈরীর কাজ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ছবি সহ রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।আমরা চাই অবিলম্বে জেলা ও সেচ প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে আগামী বর্ষার পূর্বে সেচ দপ্তরের কাটিং চার্ট অনুসারে বেশি সংখ্যক মেশিন নামিয়ে দ্রুত খাল সংস্কার করুক।