আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ১৫ মার্চ: তারাপীঠ মহাশ্মশানে নির্মাণ বন্ধের দাবিতে এবার রামপুরহাট মহকুমা শাসকের অফিসের সামনে অবস্থানে বসল বিজেপি। শনিবার প্রতীকি মৃতদেহ নিয়ে রামপুরহাট শহর পরিক্রমা করে অবস্থানে বসে তারা। দাবি, অবিলম্বে মহাশ্মশানের পবিত্রতা নষ্টকারী নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে হবে।
তারাপীঠ মহাশ্মশানে নির্মাণ করা হচ্ছে দূষিত জল মজুতের রিজার্ভার। সেই জল পরিস্রুত করে ফেলা হবে দ্বারকা নদীতে। এরই প্রতিবাদে বিজেপির আন্দোলন অব্যাহত। তাদের দাবি, বৈষ্ণবদের সমাধি ধ্বংস করে নির্মাণ করা হচ্ছে ওই রিজার্ভার। এর ফলে শ্মশানের পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে। প্রতিবাদে নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে গিয়ে গ্রেফতার হন দলের বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা সহ ১৫ জন। বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। তাতেও কাজ বন্ধ না হওয়ায় শনিবার থেকে রামপুরহাট মহকুমা শাসকের অফিসের সামনে ধর্নায় বসেছে বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন একটি প্রতীকি মৃতদেহকে কাঁধে নিয়ে রামপুরহাট শহর পরিক্রমার পর অবস্থানে বসে বিজেপি। প্রতীকি মৃতদেহ রাখা হয় ধর্ণা মঞ্চের সামনে।
দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক শান্তনু মণ্ডল বলেন, “তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ গায়ের জোরে নির্মাণ কাজ করছে। পুলিশ দিয়ে রাতের অন্ধকারে কাজ করাচ্ছে। বৈধ কাজ হলে রাতের অন্ধকারে কাজ করার প্রয়োজন ছিল না। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব। আমরা কোনমতে বৈষ্ণবদের সমাধি ধ্বংস করে নোংরা জলের রিজার্ভার করতে দেব না। আমরা তিনদিন ধরে তারাপীঠ- রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেছি। সেখানে আমাদের অবস্থানে বসতে বাধার সৃষ্টি করে পুলিশ। তাই এবার মহকুমা শাসকের অফিসের সামনে অবস্থানে বসলাম।”
যদিও এনিয়ে প্রশাসনের কেউ কিছু বলতে চায়নি। তবে তারাপীঠ- রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান সুকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, “কাজটি করছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। ফলে এর সঙ্গে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই।”