সাথী দাস, পুরুলিয়া, ৯ ফেব্রুয়ারি: আবাসিক স্কুলে এক অষ্টম শ্রেণির ছাত্র প্রথম শ্রেণির পড়ুয়াকে মাথা থেঁতলে খুনের ঘটনায় পুরুলিয়ায় পরিদর্শনে এলেন রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি দল। পুরুলিয়া সার্কিট হাউসে ওই দলটি একটি বৈঠক করেন। পরে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান তাঁরা।
প্রসঙ্গত, আবাসিক স্কুলের শিশুকে মাথা থেঁতলে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার অষ্টম শ্রেণির কিশোর। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে ৩০ জানুয়ারি পুরুলিয়ার মানবাজার থানার জবলা এলাকার ঘাসতোড়িয়া সারদা শিশু মন্দির আবাসিক স্কুলের কাছে। মৃত শিশুর নাম সুদীপ মাহাত (৬)। প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল সে। ঘটনায় গত ৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার মানবাজার থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত ছাত্র। সে ওই বিদ্যালয়েরই অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। প্রথমে তাকে পুরুলিয়ার শিমুলিয়া আনন্দমঠ জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের কাছে পেশ করা হয়। পরে সেখান থেকে হুগলির কল্যাণ ভারতী হোমে পাঠানো হয়। হোস্টেলের বন্দি দশা থেকে মুক্তি পেতে এই খুনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে ওই কিশোর, এমনই তথ্য প্রাথমিক তদন্তে উঠেছে এসেছে পুলিশের কাছে। আর এই ঘটনায় শিশু মনের অবস্থা সম্পর্কে উদ্বেলিত করে তুলেছে রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনকে।
করোনার কারণে মানব জীবনে বড় রকম প্রভাব পড়েছে। শিশুদেরও মানসিকতার পরিবর্তন ঘটিয়েছে বলে মনে করছে রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাস। এদিন তিনি জানান, জবলার ওই স্কুলের ঘটনার সব কিছু খতিয়ে দেখে পর্যালোচনা করা হবে। এছাড়া অন্যান্য স্কুল হোস্টেল হোমগুলিতেও তাঁরা যাবেন বলে জানান চেয়ারপার্সন তুলিকা দাস।