আশিস মণ্ডল, সিউড়ি, ১০ নভেম্বর: গ্যাস বেলুনের সিলিন্ডার ফেটে ছিন্নভিন্ন হয়েছে এক যুবকের দেহ। এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে হয়েছে এই বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। এরপরেই চরম উত্তেজনা ছড়ায় গ্রামে। আওয়াজ পেয়ে গ্রামবাসীরা সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে গিয়ে মৃত যুবকের ছিন্নভিন্ন দেহ দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ক্ষোভ আছড়ে পড়ে সিভিক ভলান্টয়ারের উপর। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ভাঙ্গচুর করে তছনছ করে দেয় সিভিকের বাড়ি। প্রাণ বাঁচাতে দরজা আটকে আত্মগোপন করে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার।
স্থানীয়রা ফোন করে পুলিশকে। পুলিশ এলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। পুলিশকে মৃতদেহ তুলতে বাধা দেওয়া হয়। রবিবার দুপরে হওয়া এই ঘটনা ঘিরে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বীরভূমের সাঁইথিয়া থানার ফুলুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিলসা গ্রাম। মৃতের নাম বিপদতারণ বাগদী (৩৬)। বাড়ি একই গ্রামে।সেই গ্রামে সিভিক দুর্গাপ্রসাদ ভট্টাচার্য গ্যাস বেলুনের ব্যবসাও করেন। মেলায় মেলায় লোককে দিয়ে গ্যাস বেলুন বিক্রি করান। তারই রয়েছে গ্যাস বেলুনের সিলিন্ডার। এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ ওই সিভিক বিপদতারণ বাগদীকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসেন। তাকে দিয়ে ওই সিভিক বেলুনে গ্যাস ভরার কাজ করাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। সেই সময় আচমকা গ্যাসের সিলিন্ডার ফেটে যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় যুবকের দেহ।
বিস্ফোরণের তীব্রতায় টনক নড়ে গ্রামবাসীদের। তারা ছুটে গিয়ে দেখেন এই কান্ড। সমস্ত ক্ষোভ আছড়ে পড়ে সিভিকের উপর। সিভিকের বাড়িতে দেদারে ভাঙ্গচুর চালায় তারা। ওই সিভিক কোনক্রমে দরজা আটকে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ আসলে বিক্ষোভ আরও তীব্র হয় মানুষের। ঘন্টার পর ঘন্টা পুলিশকে আটকে রেখে দেহ তুলতে বাধা দেয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছে।