আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগনা, ২০ জানুয়ারি:
বসিরহাট মহকুমার হাসনাবাদ থানার বরুনহাট গ্রামের ঢালী পাড়ার ঘটনা। বছর সতেরোর দশম শ্রেণির কিশোরী ছাত্রীর সঙ্গে বিয়ে হচ্ছিল হিঙ্গলগঞ্জ থানার কারিগর পাড়ায় যুবক আবু হোসেনের সঙ্গে। সে পেশায় সেলাই মিস্ত্রি। ওই ছাত্রীকে বিয়ে দেওয়ার জন্য, গোপনে বাড়ির মধ্যে একটি প্যান্ডেল করা হয়। সোমবার দুপুরবেলা বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন হয়েছিল। মেয়ে কনে সেজে বসেছিল বাড়িতে। আত্মীয়-স্বজন ভিড় জমিয়েছিল, খাবারের মেনু সম্পূর্ণ প্রস্তুত। বিয়ের আচার-অনুষ্ঠান শেষ পর্যায়ে। বর আসার অপেক্ষা শুধুমাত্র। দুপুর দুটো নাগাদ স্থানীয় এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও গ্রামবাসীরা এই ঘটনা জানতে পারলে। প্রথমে হাসনাবাদ থানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারপর বিডিও’র কাছে জানানো হয়। হাসনাবাদ কন্যাশ্রী আধিকারিক প্রণব মুখার্জি পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে, পাশাপাশি টাকি অ্যাডাল্ট অফিসার সুনিতা ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে মেয়ের বাড়িতে হাজির হন। সেখানে তারা নাবালিকা বিবাহের খারাপ দিকগুলি সম্পর্কে বাড়ির লোকজনদের বোঝায়।
একদিকে কন্যা অন্যদিকে বাবা মোবারেকা ঢালীকে বোঝান সরকারি প্রকল্পগুলির সুবিধা সম্পর্কে। যেমন কন্যাশ্রী এবং রূপশ্রী। জানানো হয় বাড়ির অন্যান্য আত্মীয়দের। তখন ওয়াকিবহাল হয় ঢালী পরিবার। শেষ পর্যন্ত তারা বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত মেয়ের পূর্ণাঙ্গ বয়স না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা মেয়ের বিয়ে দেবেন না। শেষ পর্যন্ত পাত্রীও পড়াশোনা করতে চায়। কন্যা মুসলিমা খাতুন বাবা মোবারক ঢালী কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে নেওয়া হয়। তারা বলেন, মেয়েদের যতক্ষণ পর্যন্ত ১৮ বছর না হবে তারা বিয়ে দেবে না। পড়াশোনা করাবেন যাতে কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর সব সুবিধা পায়। ছাত্রীর সবরকম ব্যবস্থা করবে স্কুল কনক নগর এইচডি ইনস্টিটিউশন।